সনাতন ধর্মাবলম্বীদের থাপ্পড় দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিরুদ্ধে তাকে বদলি করা হয়েছে।
আদিতমারীর ইউএনও মুনসুর উদ্দিনকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য করে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে সেটি বুধবার সংবাদকর্মীদের হাতে আসে।
গত ১৭ জুলাই আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কালীরহাট আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এ ১৬টি গৃহহীন পরিবারের জন্য মুজিব পল্লীতে বৃষ্টির পানি জমে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাই প্রকল্পের পানি নিষ্কাশনের জন্য নালা নির্মাণের প্রয়োজন দেখা দেয়।
ইউএনও মনসুর উদ্দিন ওই দিন নিজেই উপস্থিত থেকে করুণা কান্ত রায় নামের এক ব্যক্তির জমির মাঝ দিয়ে নালা তৈরির কাজ শুরু করেন।
এতে করুণা বাধা দিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন সরকারি খাস জমি থাকা সত্ত্বেও জোর করে তার জমি নেয়া হচ্ছে।
পরে তাদেরকে হুমকি ধমকি দেয়ার পাশাপাশি পুলিশও ডেকে আনেন ইউএনও। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ফিরে যায়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও মনসুর উদ্দিনের বক্তব্য জানতে পারেনি নিউজবাংলা। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এ ঘটনায় করুণা কান্ত রায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কালীরহাট আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা। ছবি:নিউজবাংলা
অভিযোগের বিষয়ে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন, তদন্ত করে ইউএনও দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগেও ইউএনও মুহাম্মদ মুনসুর উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর আদিতমারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ফারুক। আর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন জেসমিন।