বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রান্সফরমার বিকলে বিপাকে পঞ্চগড়বাসী

  •    
  • ৪ আগস্ট, ২০২১ ২১:৩৩

পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন জানান, বারবার লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কারণে পৌরসভার পানির পাম্প সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। জনগণ নিরবচ্ছিন্ন পানির সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এখন হঠাৎ করে ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ায় পাম্প পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

পঞ্চগড়ে জাতীয় গ্রিড থেকে সঞ্চালিত বিদ্যুৎ ধারণ করার দুটি ট্রান্সফরমারের মধ্যে একটি বিকল হয়ে যাওয়ায় জেলার বিদ্যুৎব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ট্রান্সফরমারটি মঙ্গলবার দুপুরে বিকল হয়ে যায়। নেসকো কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ট্রান্সফরমার মেরামতের কথা জানালেও এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি।

একটি ট্রান্সফরমার থেকে ৬টি ফিডারে সরবরাহ করায় বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ যাচ্ছে। ভোল্টেজও থাকছে খুব কম।

পঞ্চগড় নেসকোর আবাসিক প্রকৌশলী আতিফুর রহমান জানান, মঙ্গলবার ৩৩ হাজার কেভির সঞ্চালন লাইনের ট্রান্সফরমারে ত্রুটি দেখা দিলে এটি রংপুর বিদ্যুৎ বিভাগের ডিপোতে পাঠানো হয়। এটি ঠিক করতে ২৪ ঘণ্টা মতো লাগার কথা থাকলেও এখনও কাজ শেষ হয়নি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে হয়তো সংকট কেটে যাবে।

তিনি আরও জানান, একটি ট্রান্সফরমার দিয়ে পুরো জেলায় একসঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয়। সচলটি দিয়ে কোনোমতে কাজ চালানো হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় জনবল, আধুনিক উপকরণসহ পরিবহনসংকটের কারণে জেলার মানুষ দীর্ঘদিন থেকেই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসুবিধা থেকে বঞ্চিত। লোডশেডিং প্রতিদিনের নিয়মিত ঘটনা। মিটারের রিডিং দেখে বিল না করায় মাঝেমাঝেই আসে অতিরিক্ত বিল।

জেলা শহরের কায়েতপাড়া গ্রামের সামসুন নাহার জানান, দিনের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। প্রতিদিন এই ভোগান্তি ভালো লাগে না।

পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন জানান, বারবার লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কারণে পৌরসভার পানির পাম্প সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। জনগণ নিরবচ্ছিন্ন পানির সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এখন হঠাৎ করে ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ায় পাম্প পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

লোডশেডিংয়ের বিষয়টি স্বীকার করে নেসকো কর্তৃপক্ষ জানায়, জাতীয় গ্রিড থেকে অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় গ্রাহকের এই ভোগান্তি।

নির্বাহী প্রকৌশলী আতিফুর রহমান জানান, জনবলসহ পরিবহনসংক্রান্ত যে সংকটের মধ্য দিয়ে তারা যাচ্ছেন, তার জন্য কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হবে।

তাদের অভিযোগ, এই জেলায় ছয়টি ফিডারে তাদের গ্রাহক প্রায় ৩১ হাজার। তাদের মধ্যে আবাসিক গ্রাহক ২৬ হাজার ৫৩১ জন ও বাণিজ্যিক ৪ হাজার ১৪৯ জন। গ্রাহকদের কাছ থেকে তাদের বকেয়া বিল প্রায় ৭ কোটি টাকা।

নেসকোর সহকারী প্রকৌশলী সত্যজিৎ দেব শর্মা বলেন, ‘সাধারণ গ্রাহকের সহযোগিতা পেলে অচিরেই সব সমস্যা দূর হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর