বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিকিৎসক সংকটে বরিশাল মেডিক্যাল

  •    
  • ৪ আগস্ট, ২০২১ ২০:০৪

হাসপাতালের ৩ শ’ শয্যার করোনা ইউনিটে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ জন রোগী ভর্তি থাকে। আর এই ইউনিটের জন্য চিকিৎসক মাত্র ২ জন।

করোনা পরিস্থিতিতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম অবস্থা। জনবল সংকটে পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে জটিল। সেখানে কমপক্ষে আরও ৫শ’ চিকিৎসক প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বরিশালের প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।

বরিশাল সার্কিট হাউসে বুধবার দুপুরে হয় বরিশাল জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ মতবিনিময় সভা। সেখানে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম উদ্বেগ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের নানা তথ্য জানান।

হাসপাতাল পরিচালক জানান, ১ হাজার শয্যার হাসপাতালটিতে করোনা সংক্রমণের কারণে বাড়ানো হয়েছে ৩শ’ শয্যা। হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার রোগী ভর্তি থাকে। এই বিপুল সংখ্যক রোগীর চিকিৎসায় জনবল নেই।

তিনি জানান, ৫শ’ শয্যার জন্যই প্রয়োজন ২২৪ জন চিকিৎসক, সেখানে এই হাসপাতালে রয়েছে মোট ১৯৭ জন। বর্তমানে করোনা ইউনিটের জন্য ৩শ’ বেড চালু হওয়ায় চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

‘করোনা ইউনিট চালু করায় জনবল সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। আমাদের কমপক্ষে আরও ৫শ’ চিকিৎসক দরকার।’

বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বরিশালের ৬ জেলার পাশাপাশি মাদারীপুর, গোপালগঞ্জসহ আশপাশের জেলা থেকে রোগী আসে। এমনিতেই এই হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট। এর মধ্যে বিভাগের সব করোনা রোগী যদি এখানেই আসে তাহলে তো বিপাকে পড়তে হবে।’

চিকিৎসক ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাপ কমাতে এরইমধ্যে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালকে ১শ’ শয্যা বিশিষ্ট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ৯টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যা করে করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি গর্ভবতী নারীদের জন্য বরিশাল নগরীর শিশু ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২০ শয্যার করোনা ইউনিট করা হয়েছে।

এ ছাড়া বরিশালের আম্বিয়া মেমোরিয়াল হসপিটাল এবং সাউথ অ্যাপোলো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করার জন্য আলোচনা চলছে।

সভায় বরিশাল জেলার সিভিল সার্জন জানান, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬৮টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা অনুদান দিয়েছে সমাজের বিত্তবানরা। যা এখানে জরুরি নয়। এখানে দরকার সিপ্যাপ, এপ্যাপ মেশিন। যেসব মেশিনের দাম ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে। তা ছাড়া অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রয়োজন। সংকট কাটাতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা ইউনিটে ৬১৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে ৫৯৩টি ছোট সিলিন্ডার, ৫০টি বড় সিলিন্ডার। আরও ৭শ’ সিলিন্ডার চাওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ে।’

এ বিভাগের আরো খবর