শেরপুরের শ্রীবরদীতে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় প্রশাসনের ওপর হামলা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন বিজিবি ও পুলিশের দুজন করে সদস্য।
উপজেলার ঝগড়ারচর বাজারে বুধবার বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ময়মনসিংহের বিজিবি ৩৯ ব্যাটালিয়নের সদস্য মো. রুবেল খন্দকার ও মো. সবুজ। পুলিশের সদস্যরা হলেন শ্রীবরদী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আজহারুল হক ও কনস্টেবল মো. জান্নাত।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বেলা ১টার দিকে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আল আমীন ও সানাউল মোর্শেদের নেতৃত্বে উপজেলার ঝগড়ারচর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এ সময় বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী মো. লিটন মিয়ার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বিজিবির এক সদস্য লিটনকে মারধর করেন।
লিটনের অভিযোগ, ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে তার দোকান বন্ধ ছিল। তিনি দোকানের সামনে বসে মাস্ক বিক্রি করছিলেন। বিনা কারণে বিজিবির সদস্যরা তাকে মারধর করেন।
ঝগড়ারচর বাজার বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমাছ আলী বলেন, কাপড় ব্যবসায়ী লিটনকে মারধর করার খবরে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন।
শ্রীবরদীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা আক্তার অবশ্য লিটনকে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় কাউকে মারধর করা হয়নি। বরং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত সহনশীল আচরণ করেন। যারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানায় একটি নিয়মিত মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।