বাবা-মা জানতেন তাদের ঘর আলো করে একসঙ্গে আসবে তিন সন্তান। সবশেষ পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তা-ই জানিয়েছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু তাদের অবাক করে ঘরে এসেছে আরও এক অতিথি। সব মিলিয়ে তারা চার ভাইবোন।
একসঙ্গে চার সন্তান প্রসব করে আলোচনায় কুমিল্লার লালবাগ গ্রামের গৃহবধূ সাহিদা আক্তার। কুমিল্লা শহরের একটি ক্লিনিকে মঙ্গলবার বিকেলে নরমাল ডেলিভারি হয় তার। ফুটফুটে নবজাতকদের মধ্যে দুটি মেয়ে।
গর্ভাবস্থার মোট সময়কাল ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু সাহিদা চার সন্তান জন্ম দিয়েছেন ৩২ সপ্তাহের মাথায়। এতে ওজন কম হয়েছে শিশুগুলোর।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আড়াই কেজি হলে নবজাতকের ওজন ঠিক আছে বলে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু ওই চার শিশুর ওজন ১ কেজি থেকে ১২০০ গ্রামের মধ্যে। এ জন্য তাদের অন্য একটি ক্লিনিকের এনআইসিইউতে রাখা হয়েছে।
সন্তানদের বাবা জিল্লুর রহমান একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি বলেন, সোমবার তার স্ত্রীর হঠাৎ প্রসবব্যথা ওঠে। পরে তাকে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক শাহিদা আক্তারের তত্ত্বাবধানে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে।
জিল্লুর বলেন, ‘আমার বড় মেয়ের নাম আতিয়া জাহান। তার বয়স ৪ বছর। এবার একসঙ্গে ৪ সন্তান হয়েছে। আমি শুকরিয়া আদায় করছি। তারা যেন সুস্থ ও ভালো থাকে এই দোয়া চাই।’
চিকিৎসক শাহিদা আক্তার বলেন, ‘এটা আমার চিকিৎসক জীবনের অন্যতম সুন্দর মুহূর্ত। মঙ্গলবার বেলা ২টা ১০ মিনিটে আমি অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করি। তবে সিজার করাতে হয়নি। প্রথম বাচ্চাটি স্বাভাবিক প্রসব হয়। পরে তিনটি বাচ্চার প্রথমে পা আসে। তাই কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে।’