চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বজ্রাঘাতে ১৬ বরযাত্রীসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার পাকা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাকার দুড়াউড়ি ঘাট এলাকায় বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তিদের ১৫ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বরের মামা মাইদুল ইসলাম জানান, তার বাড়ি নারায়ণপুর ইউনিয়নে। বুধবার সকালের দিকে পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ তিনি শিবগঞ্জের পাকা ইউনিয়নে যাচ্ছিলেন।
গত ১ আগস্ট ওই ইউনিয়নের হোসেন আলীর মেয়ে সুমির সঙ্গে বিয়ে হয় মাইদুলের ভাগনে মো. মামুনের। তারা বর ও কনেকে আনতে যাচ্ছিলেন।
তিনি আরও জানান, সকাল ১০টার দিকে তারা নারায়ণপুর আলীনগর ঘাট থেকে নৌকায় রওনা দেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা পাকা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাকার দুড়াউড়ি ঘাটে পৌঁছান। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে মাইদুল একে একে পরিবারের লোকজনকে ঘাটের একটি টিনের ছাউনিতে পৌঁছে দিচ্ছিলেন। সবাইকে ঘাটের ছাউনিতে পৌঁছে দিলে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। এ সময় ওই টিনের ছাউনির নিচে যারা ছিলেন তারা সবাই মারা যান।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন মাইদুল।
তার হলেন মাইদুলের বাবা মো. তোবজুল, মা জমিলা বেগম, বোন ল্যাতন বেগম, ভাই মো. সাইদুল, ভাবি টকিয়ারা বেগম, ভাতিজা মো. বাবু, ভাগনে মো. বাবলু, বোন বেলিয়ার বেগম ও তার স্বামী মো. টিপু। টিপুর বাড়ি সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের বাবুডাঙ গ্রামে।
এ ছাড়া মারা যান মামুনের বাবা শরিফুল ইসলাম, চাচা মো. আলম, চাচাতো ভাই মো. সজীব এবং দুলাভাই চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোঠাগ্রামের মো. সোহবুল। মামুনের বাড়ি সদর উপজেলার জনতার হাট এলাকায়।
বজ্রপাতের সময় ফেরিঘাটে উপস্থিত উপজেলার পাকা গ্রামের মো. রফিকও মারা যান বলে জানান মাইদুল।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি বলেন, ‘আলীনগর ঘাটে মরদেহগুলো রয়েছে। মৃতদের মধ্যে নারী রয়েছেন পাঁচজন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’