কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার প্রকৌশলী এম এস আনোয়ারুল হককে ঘুষ না দিলে কোনও ফাইল নড়ে না। কোন কাজই হয় না। ভোক্তভোগীরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে বার বার এমন অভিযোগ করেও কোন সমাধান খুঁজে পাননি। এসময় প্রকৌশলীর ঘুষ নেয়ার একটি ছবি ভোক্তভোগীদের জন্য আশির্বাদ হয়ে উঠে।
ঘুষ নেয়ার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পরই তাকে দাউদকান্দি উপজেলা থেকে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় বদলি করা হয় ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, বিকেলে তার বদলি আদেশের একটি মেইল পেয়েছি।
জানা গেছে, প্রকৌশলী এম এস আনোয়ারুল দাউদকান্দি কর্মস্থলে যোগ দেয়ার পর থেকেই প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেন। ফাইলের সঙ্গে টাকা না দিলে দিনের পর দিন ফাইল আটকে রাখেন।
দাউদকান্দি উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় ভোক্তভোগীরা এ বিষয়ে অভিযোগ করলেও তার ঘুষ লেনদেন বন্ধ করা যায়নি ।
সুন্দরপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ আলম বলেন, ‘প্রকৌশলী আনোয়ারুল হক দাউদকান্দিতে যোগ দেয়ার পর বিভিন্ন রাস্তাঘাট, কালভার্ড ও সেতুর কাজ নিয়ে স্থানীয় ঠিকাদার ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলেন।
বেশ কয়েকবার উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় ‘প্রকৌশলীকে ঘুষ না দিলে কাজ হয় না’ মর্মে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যানরা।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রকৌশলী এম এস আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে পর পর দুইটি অভিযোগ এসেছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তার বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
‘সম্প্রতি ঘুষ নেয়ার ছবি ফেসবুকে দেখেছি। বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ খান স্বাক্ষরিত একটি মেইলে তার বলদির আদেশ দেওয়া হয়।’
অভিযোগের বিষয় নিয়ে দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী এম এস আনোয়ারুল হকের মোবাইল ফোনে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।