বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অ‌ক্সি‌জে‌ন দি‌তে গড়িম‌সি, রোগীর মৃত‌্যু

  •    
  • ৩ আগস্ট, ২০২১ ২৩:১০

‘অক্সিজেনের জন্য আমরা নিচতলার ওয়ার্ড মাস্টারের রুমে গেলে তিনি নার্সের রুমে পাঠান। নার্সের কাছে গেছে তিনি ওয়ার্ড মাস্টারের কাছে পাঠান। ওয়ার্ড মাস্টার আমার কাছে সিলিন্ডারের জন্য ৫০০ টাকা দাবি করেন। আমরা টাকা দিতে না চাইলে তিনি সিলিন্ডারও দেননি। টাকা না দেয়ায় তিনি আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন।’

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে অক্সিজেনের অভাবে রানু বেগম নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।

মঙ্গলবার বিকা‌লে ৫০ বছর বয়সী ওই রোগীর মৃত্যু হয় বলে জানান তার ছেলে আল আমিন।

রোগীর স্বজন স্বপন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ৬নং ওয়ার্ড পলাশপুর নতুন ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিলের স্ত্রী রানু বেগম কয়েকদিন ধরে মাথাব্যথা ও জ্বরে ভুগছিলেন। এছাড়া তার অ্যাজমা ছিল। এ কারণে প্রায়ই শ্বাসকষ্ট হতো। মঙ্গলবার সকাল থেকে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। দুপুর ২টার দিকে তারা রাণু বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়। সেখানে গেলে ডাক্তার অক্সিজেন দিতে বলেন।

স্বপন বলেন, ‘অক্সিজেনের জন্য আমরা নিচতলার ওয়ার্ড মাস্টারের রুমে গেলে তিনি নার্সের রুমে পাঠান। নার্সের কাছে গেছে তিনি ওয়ার্ড মাস্টারের কাছে পাঠান। ওয়ার্ড মাস্টার আমার কাছে সিলিন্ডারের জন্য ৫০০ টাকা দাবি করেন। আমরা টাকা দিতে না চাইলে তিনি সিলিন্ডারও দেননি। টাকা না দেয়ায় তিনি আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন।’

রানু বেগমের ছেলে আল আমিন বলেন, ‘আমার মা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন। এখানে নিয়ে আসার পরে একজন ডাক্তার, নার্স কেউ কাছে আসেনি। ছটফট করতে করতে অক্সিজেনের অভাবে আমার মা মারা গেছে। চিকিৎসা পেলে আমার মা মারা যেত না।’

আরও দুই স্বজন বলেন, অক্সিজেন পরিমাপের জন্য অক্সিজেনের মিটার কিনতে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন হাসপাতালের লোকেরা। শেষে আমরাই অক্সিজেন পরিমাপের মেশিন কিনে আনি। তারপরও তারা অক্সিজেন দেন নাই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ গাফিলতিতে রানু বেগম মারা গেছেন। হাসপাতাল সরকারি হলেও টাকা ছাড়া এখানে কোন চিকিৎসা পাওয়া যায় না।

এ বিষয়ে করোনা ওয়ার্ডের অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার মশিউর রহমান জানান, তিনি কোনো রোগীর স্বজনকে গালাগাল করেননি। তাছাড়া অক্সিজেনে দেয়ার এখতিয়ার তার নেই। অক্সিজেন দিয়ে থাকেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা।

শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘করোনা ইউনিট থেকে অক্সিজেন দেয়া হবে না—এমন হওয়ার কথা নয়। অক্সিজেন সিলিন্ডার দিতে স্টাফরা টাকা দাবি করবেন—এটিও হওয়ার নয়। পুরো বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এর আগে এমন কখনও হয়নি। অন্যান্য রোগীদের অক্সিজেন দিলে তাকে কেন হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন দেয়া হবে না—বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। এই কর্মকর্তা বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি আসলে কী ঘটেছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর