চুয়াত্তর বছর বয়সী লাল মিয়া। বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়েছেন। ৩ ছেলে থাকলেও কেউ তার খোঁজ নেন না। স্ত্রীকে নিয়ে একাই বাস করেন জামালপুরের বকশিগঞ্জ পৌরসভার পুরাতন গরুহাটিতে নিজের বাড়িতে।
এলাকার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের খাদেম তিনি। পাশাপাশি, বাজারে গ্যাস লাইট মেরামত করে দিনে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আয় করতেন তিনি। তা দিয়ে কোনো মতে সংসার চলত দুই জনের। করোনাভাইরাসের কারণে এখন সেই আয়ের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। তাই আয় না হলে কখনও তাদেরকে না খেয়ে থাকতে হয়। বয়স্ক ভাতার সামান্য টাকা দিয়ে ওষুধ কেনেন তারা।
লাল মিয়ার এ কষ্টের জীবন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তুলে ধরেন বকশিগঞ্জের কয়েকজন যুবক। দ্রুত এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে লাল মিয়াকে ত্রাণ সহায়তা দেন বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মেহেদী হাসান টিটু। ত্রাণ হিসেবে তাকে চাল, ডাল, লবন, তেল ও আলু দেয়া হয়।
ত্রাণ পাওয়ার পর লাল মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার মতো গরিব না পাই ভিক্ষা করবার, না পাই কারো কাছে হাত পাতবের। লকডাউনের টানা কয়দিন না খায়েই আছিলাম। ইউএনও ম্যাডাম যে খাবার দিলো সেডা কয়ডা দিন চলবো। কয়ডা টাকা দিলে কিছু কইরে খাইতাম।’
ইউএনও মুন মুন জাহান জানান, লাল মিয়াকে আপাতত কিছু ত্রাণ দেয়া হয়েছে। তাকে অর্থ সহায়তাও করা হবে। উপজেলায় আর কেউ এমন দরিদ্র থাকলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকেও সহায়তা দেয়া হবে।