কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুকুর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পাঁচ মাস পর ময়নাতদন্তে জানা গেল তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় ওই শিশুর প্রতিবেশী যুবককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তারের পর রাতেই কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) জুয়েল ইসলাম জানান, এ বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি কোনাখালীর দক্ষিণ জঙ্গলকাটা গ্রামে সাড়ে তিন বছর বয়সী এক শিশু বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ির কাছে একটি পুকুর থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেন শিশুটির বাবা।
ওসি আরও জানান, পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। প্রায় পাঁচ মাস পর আসা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ওই শিশুকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া যায়।
পরে অপমৃত্যুর মামলাটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা করা হয়।
ওসি বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে প্রতিবেশী ওই যুবক পলাতক থাকায় তার বিষয়ে সন্দেহ হয় শিশুর পরিবারের। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিলাম।’
পরে এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।