পঞ্চগড়ে চারদিন ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে প্রায় খোলা আকাশের নিচে থাকছেন পান ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন।
ভেঙে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তার টিনের বাড়ি। মারধরের অভিযোগও আছে সদর উপজেলার ডুডুমারি মাহানপাড়া গ্রামের ফরহাদের।
এ ঘটনায় রোববার তিনি পঞ্চগড় সদর থানায় আল মামুন ও হাফিজুল ইসলামসহ নয়জনের নামে মামলা করেন। তবে এখন পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ফরহাদ তিনবছর আগে তার পৈতৃক ১ বিঘা জমিতে বাড়ি করে সেখানেই কিছু চাষাবাদ করেন। আল মামুনের দাবি, ওই জমি তার। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। আদালতে মামলাও চলছে।
গত ৩ জুলাই আল মামুন ও হাফিজুল ইসলাম লোকজন নিয়ে এই জমি দখল করতে আসে। ফরহাদের মা ফয়জান নেছা ও স্ত্রী শাহিনা বাধা দিলে আসামিরা তাদের মারধর করে। পরদিন ফরহাদ তাদের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
১৫ জুলাই তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে পরদিন ফরহাদকে হুমকি দেয় মামলা তুলে নিতে। ফরহাদ আবারও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এতে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এরপর তারা গত শুক্রবার ফরহাদের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট করে আগুন দেয়। আবারও ফরহাদের মা ও স্ত্রীকে মারধর করে। পরে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফরহাদ নিউজবাংলাকে জানান, আগুনে তার তিনটি ঘরের জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। তিনি পরিবার নিয়ে প্রায় খোলা আকাশের নিচে থাকছেন।
এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন মামুন। তিনি জানান, এই জমি তাদের। এটি নিয়ে মামলাও চলছে। ফরহাদ তাদের বিপদে ফেলার নিজেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। তিনি ওখানে যাননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক কাইয়ুম আলী জানান, মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্তে আসামীদের দোষ পাওয়া গেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।