নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে সড়ক ও সেতু পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের বসুরহাট-দাগনভূঞা সড়কে সোমবার বিকেল চারটার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পাঁচটি অবিস্ফোরিত ককটেল ও একটি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার নিউজবাংলাকে জানান, কে বা কারা দিনের বেলা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জুর দাবি, ‘এটি একটি সাজানো নাটক। বসুরহাট-দাগনভূঞা সড়ক আঞ্চলিক মহাসড়ক। এ সড়কে বার বার ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কাদের মির্জা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়।
‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাদের মির্জার নির্দেশে কোম্পানীগঞ্জকে অস্থিতিশীল রাখতে ও প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের ফাঁসাতে তার অনুসারীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।’
ওই এলাকার বাসিন্দা ও কাদের মির্জার সমর্থক মো. ওয়াসিম এই ঘটনার দায় দিয়েছেন মির্জার প্রতিপক্ষ দুই ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাত ও উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জুকে।
- আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদেরের বাড়ির সামনে ককটেল
২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা না হলে এই ঘটনার প্রতিবাদে কাদের মির্জার হয়ে তারা রাস্তায় নামার ঘোষণা দেন।
কাদেরের বাড়ির সামনে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ।
এর আগে গত ১ জুন ওবায়দুল কাদের ও তার ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বাড়ির সামনে থেকে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল ও চকলেট বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
তারও আগে ওবায়দুল কাদের ও কাদের মির্জার বাড়িতে গত ১৬ এপ্রিল রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ককটেল হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।