বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারাগারে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামির করোনা

  • ইফেতখার রায়হান, গাজীপুর    
  • ২ আগস্ট, ২০২১ ২০:০৫

ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামি আব্দুর রহিমকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে ওই হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিসাধীন আছেন। এ ঘটনার পর কারাগারের ভেতরে বন্দি এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

গাজীপুরের কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় কারাগারে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় ফাঁসির দণ্ড পাওয়া এক আসামির করোনা পজিটিভ এসেছে।

করোনায় আক্রান্ত ওই আসামির নাম আব্দুর রহিম।

চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিউজবাংলাকে সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার আব্দুল জলিল।

কারা সূত্র জানায়, কনডেম সেলে আব্দুর রহিম একাই থাকতেন। গত ২৬ জুলাই তার করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। পরে তাকে প্রথমে কাশিমপুর কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

পরে ওইদিনই তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ৩১ জুলাই তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়।

সেখান থেকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে ওই হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিসাধীন আছেন। এ ঘটনার পর কারাগারের ভেতরে বন্দি এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, আব্দুর রহিম করোনা পজিটিভ। তিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কর্ণফুলী নদীর তীরে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সংরক্ষিত জেটিঘাটে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্যরাতে ট্রলার থেকে অস্ত্র খালাসের সময় পুলিশ ১০ ট্রাকের সমপরিমাণ অস্ত্র আটক করে। অত্যাধুনিক অস্ত্রের এই বিশাল চালান নিয়ে তখন দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়।

উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছিল এমএমটি-৫৬-১ মডেলের ৬৯০টি এসএমজি, এমএম-৫৬-২ মডেলের এসএমজি ৬০০টি, ৪০ এমএম রকেট লাঞ্চার ১৫০টি, ১০০টি টমিগান, ২ হাজার লাঞ্চিং গ্রেনেডসহ বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ।

এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদুর রহমান বাদী হয়ে অস্ত্র ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা করেন। এই দুটি মামলার তদন্ত করেন পাঁচ তদন্ত কর্মকর্তা।

প্রায় ১০ বছর অপেক্ষার পর গত বছরের ৩০ জানুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। চোরাচালানের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সাবেক জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, তখনকার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর ও উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ আসামিকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিম, পরিচালক সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ, উপপরিচালক লিয়াকত হোসেন, এনএসআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, সিইউএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক, চোরাকারবারি হাফিজুর রহমান, দীন মোহাম্মদ, নূরুল আমিন এবং আবদুস সোবহান।

এ বিভাগের আরো খবর