বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আশ্রয়কেন্দ্রে পাহাড়ের আরও ১ হাজার মানুষ

  •    
  • ২ আগস্ট, ২০২১ ১৩:৪২

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার এই বাসিন্দাদের বিভিন্ন স্কুল, কলেজসহ ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে শুকনো খাবারের পাশাপাশি রান্না করা খাবারও দেয়া হচ্ছে। আছে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও।

পাহাড় ধসের আশঙ্কায় কক্সবাজারের অতি ঝুঁকিপূর্ণ আটটি পাহাড় থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মামুনুর রশিদ সোমবার সকালে জানান, রোববার দিনভর ১ হাজার ২০০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে সাড়ে তিন হাজার মানুষকে বিভিন্ন পাহাড় থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার এই বাসিন্দাদের বিভিন্ন স্কুল, কলেজসহ ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে শুকনো খাবারের পাশাপাশি রান্না করা খাবারও দেয়া হচ্ছে। আছে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও।

ডিসি মামুনুর রশিদ ও পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ ও র‍্যাব-পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে কাজ করছেন।

রোববারের উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে ডিসি বলেন, ‘পাহাড়ধসে এরইমধ্যে ১৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বসতবাড়ি। কাউকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করতে দেয়া হবে না। জীবনের নিরাপত্তার বিষয়, আপনাদেরও সেটি বুঝতে হবে। প্রশাসনের আটটি টিম কাজ করছে।

‘তারা স্বেচ্ছায় না গেলে প্রশাসনের টিম গিয়ে ঘরগুলো তালা মেরে দিবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, ‘পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের স্থায়ীভাবে সরিয়ে আনার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। তাই একটু সময় দরকার। তারপর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে মধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

‘এসব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের স্থায়ী আবাসনের জন্য জায়গায় খোঁজা হচ্ছে। জায়গায় পেলেই তাদের পুনর্বাসন করা হবে।’

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির জানান, সেখানকার পাহাড়ি অঞ্চলে ৩ হাজার ৫২৫ পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। তাদের দিনে উচ্ছেদ করা হলে আবার রাতে সেখানে ফিরে যায়।

জেলা প্রশাসনের হিসেবে, গেল ৯ বছরে জেলায় পাহাড় ধসের ঘটনায় অন্তত ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক।

এর মধ্যে ২০১০ সালের জুন মাসে পাহাড়ধসে সাত সেনা সদস্যসহ ৫৬ জনের মৃত্যু হয়।

সবশেষে গত ২৭ জুলাই একদিনে ৫ রোহিঙ্গাসহ ১৪ জন প্রাণ হারান।

জেলার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, পাহাড়ধসের শঙ্কায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে এরইমধ্যে দুই হাজার পরিবারের নয় হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর