বাইক চালাচ্ছিলেন স্বামী। পেছনে ছিলেন স্ত্রী-সন্তান। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। কিছু বুঝে উঠার আগেই রাস্তায় পড়ে যান দুই আরোহী।
তারপর আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি তারা। দ্রুত গতির একটি বাস তাদের চাপা দেয়। সড়কেই পড়ে থাকে তাদের নিথর দেহ। আহত স্বামী তাদের মরদেহ নিয়ে ফেরেন বাড়িতে।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের চন্ডিহারা এলাকায়।
নিহতরা হলেন সোনাতলা উপজেলার কুশার ঘোপ গ্রামের গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তা আলতাব আলীর স্ত্রী শিমু বেগম ও মেয়ে বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী আফরিন জাহান অমি।
আলতাব আলী গাইবান্ধার কোচাশহরে গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করেন। মেয়ে অমি বগুড়ায় লেখাপড়া করার কারণে তার পরিবারের বসবাস বগুড়া শহরের লতিফপুর মধ্যপাড়ায়।
পুলিশ জানায়, আলতাব আলী রোববার বিকেলে তার গ্রামের বাড়ি থেকে স্ত্রী-সন্তানকে শহরের বাসায় পৌঁছে দিতে মোটরসাইকেলে করে রওনা হন। সন্ধ্যার দিকে তিনি বগুড়া- রংপুর মহাসড়কে শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা বন্দরের এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারান। বাইক থেকে মা-মেয়ে পড়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে বগুড়াগামী একটি বাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
মোটরসাইকেল চালক আলতাব আলী আহত হন। দুর্ঘটনার পর পরই বাসটি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আলতাব আলী স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। সামান্য ব্যথা পেয়েছেন বাইক চালক।