বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দস্যুতামুক্ত চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমা

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২১ ২২:১৩

চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমা সীতাকুণ্ড থেকে কুতুবদিয়া পর্যন্ত বাড়ানোর পর বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দস্যুতা শূন্যে নামিয়ে আনা। সেই কাজটি করতে সক্ষম হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা মোহনা থেকে প্রায় ৮২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বন্দর জলসীমায় সুযোগ পেলেই জাহাজে হানা দিত দস্যুরা।

সরাসরি অভিযানে পুরোপুরি সুফল না আসায় দস্যুতা রোধে ভিন্ন কৌশল নেয় কোস্টগার্ড। সাগরের চেয়ে উপকূলীয় এলাকায় চালানো হয় বিশেষ তদারকি। ফলে দিন দিন নিরাপদ হয়ে উঠছে বন্দরের জলসীমা।

দস্যুতা পর্যবেক্ষণকারী দুটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় কোনো দস্যুতার ঘটনা ঘটেনি। অথচ কয়েক বছর আগেও এই জলসীমায় জাহাজে চুরি, দস্যুতা প্রায়ই ঘটত।

চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমা সীতাকুণ্ড থেকে কুতুবদিয়া পর্যন্ত বাড়ানোর পর বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দস্যুতা শূন্যে নামিয়ে আনা। সেই কাজটি করতে সক্ষম হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

গত ২৭ জুলাই প্রকাশিত রিক্যাপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে বিশ্বজুড়ে ৩৭টি দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় কোনো চুরি, ডাকাতি, দস্যুতার ঘটনা ঘটেনি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দুটি, ইন্দোনেশিয়ায় ছয়টি, ফিলিপাইনে ছয়টি, ভিয়েতনামে দুটি এবং সিঙ্গাপুরের মালাক্কা প্রণালিতে ২০টি দস্যুতার ঘটনা রেকর্ড হয়েছে।

প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে সমুদ্রপথে এই ছয় মাসে দস্যুতার ঘটনা ৩৫ শতাংশ কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশে। চলতি ছয় মাসে এখানে দস্যুতার ঘটনা একেবারেই শূন্য। ২০২০ সালের তিনটি দস্যুতার ঘটনা রেকর্ড হয়েছিল বাংলাদেশে।

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘আগের চেয়ে বন্দরের জলসীমা বেড়েছে। এত বড় জলসীমায় দস্যুতার ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে গত ছয় মাসে কোনো দস্যুতার ঘটনা ঘটেনি।’

রিক্যাপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১০ সালে সর্বোচ্চ ২১টি, ২০১১ সালে ১৪, ২০১২ সালে ১২, ২০১৫ সালে ১০, ২০১৬ সালে ১, ২০১৭ সালে ১১ ও ২০১৮ সালে ৯টি দস্যুতার ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালে কোনো দস্যুতার ঘটনা ঘটেনি বাংলাদেশে। সর্বশেষ ২০২০ সালে পাঁচটি দস্যুতার ঘটনা ঘটে। আর ২০২১ সালের জানুয়ারি-জুন দস্যুতার ঘটনা শূন্যে নেমেছে।

বন্দরের জলসীমায় নিয়মিত শতাধিক বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করে। আগে বন্দরের জলসীমায় সচিত্র তদারকির ব্যবস্থা না থাকায় জাহাজের মাস্টাররা চুরি-ডাকাতির কোনো অভিযোগ দিলে তা সহজে যাচাই করার সুযোগ ছিল না।

২০১৩ সালে বন্দরে জাহাজ চলাচল ব্যবস্থাপনা ও তথ্য পদ্ধতি নামের একটি প্রকল্প চালু হয়। এই প্রকল্পে বন্দরের মোট জলসীমার মধ্যে পাঁচ কিলোমিটার (পতেঙ্গা থেকে সাগরের দিকে) এলাকা নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা যায়। এই প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে এখন দস্যুতা রোধেও তদারকি করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর