রংপুরে নিজ ঘরে ছুরিকাঘাতে আহত মাদ্রাসার ছাত্রীকে বাঁচানো গেল না। চারদিন হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার ভোরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
মৃত ছাত্রীর নাম তারমিনা আক্তার ফুলতি।
তার মামা নুর আলম বৃহস্পতিবার মামলা করেন। মামলায় সাখাওয়াত হোসেনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, ফুলতির বড় বোন তাহমিনার বিয়ে হয় মিঠাপুকুরের পশ্চিম বড়বালায়। তার স্বামীর পক্ষের আত্মী একই এলাকার বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন ফুলতিকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে সাড়া না পেয়ে মেয়েটিকে সাখাওয়াত নানাভাবে উত্ত্যক্ত করছিলেন।
ফুলতির বিয়ে ঠিক হয়েছে এই খবরে বুধবার ভোরে তার বদরগঞ্জের বাড়িতে যান সাখাওয়াত। সবাই ঘুমে থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে ফুলতিকে ছুরিকাঘাত করেন তিনি। চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এসে ফুলতিকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্বজনরা জানান মৃত্যুর আগে ফুলতি সাখাওয়াতের ফাঁসি দাবি করেছে।
মেয়েটি বলেছে, ‘আমি ঘরে ঘুমে ছিলাম, সাখাওয়াত হঠাৎ করে ঢুকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। আমার কিছু হলে এর জন্য সাখাওয়াত দায়ী থাকবে। আমি তার ফাঁসি চাই।’
ফুলতির বাবা তোয়াব আলী বলেন, ‘মাও মোর লোহানী পাড়া মাদ্রাসাত পড়ত। যে মোর বেটিক মারি ফেলাইচে, মুই তার ফাঁসি চাং।’
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফুলতির ময়নাতদন্ত হয়েছে। পরে বদরগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করেছেন স্বজনরা। অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।