মোবাইল ফোন ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতাসহ দুজনকে ঝিনাইদহ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে খেলনা পিস্তল, ছয়টি মোবাইল ফোন ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। তারা পুলিশ পরিচয় দিয়ে খেলনা পিস্তল ধরে মোবাইল ফোন ছিনতাই করত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার ভোরে ঝিনাইদহ সদর ও মহেশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম।তিনি বলেন, ১৭ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদরের ওই গ্রামে রাস্তার পাশে মোবাইল ফোনে ফ্রি ফায়ার ও লুডু খেলছিল কয়েকজন যুবক ও কিশোর। এ সময় পুলিশ পরিচয় দিয়ে তিন-চারজন তাদের চড়-থাপ্পড় দিয়ে খেলনা পিস্তলের ভয় দেখিয়ে তিনটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
গত ২৬ জুলাই সদর উপজেলার ভুলটিয়া ও কিরোনগাছি গ্রামে একইভাবে আরও তিনটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে সংঘবদ্ধ চক্রটি।সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এসব ঘটনায় গত শনিবার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সদর উপজেলার ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি। পরে অভিযান শুরু করে সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) একরামুল হোসাইন, উপপরিদর্শক সামিম হাসান ও হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার ভোরে ঝিনাইদহ সদর ও মহেশপুরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মোবাইল ফোন ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা ইসমাইল খান আরিফ ও তার সহযোগী উত্তম কুমার ঘোষকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের কাছ জব্দ করা হয় একটি খেলনা পিস্তল, ছিনতাই করা ছয়টি মোবাইল ফোন এবং তাদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল।
৩০ বছর বয়সী ইসমাইল ঝিনাইদহের মহেশপুরের পুরন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার সহযোগী উত্তমের বাড়ি একই উপজেলার হামিদপুর গ্রামে।
পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর জানান, চক্রটির অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলেছে। ওই সব ঘটনায় সকালে সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, চক্রটি শুধু চুয়াডাঙ্গায় নয়, আশপাশের বিভিন্ন জেলায় ছিনতাইয়ে জড়িত। খেলনা পিস্তলের ভয় দেখিয়ে, মারধর করে তারা মোবাইল ফোন ছিনতাই করত।
গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।