চলমান কঠোর লকডাউন শেষে আগামী ৫ আগস্ট থেকে দোকান খোলার অনুমতি চেয়েছেন কুমিল্লার দোকান মালিক সমিতির সদস্যরা।
জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, ‘লকডাউনে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। আমাদের বাঁচতে দিন। আমরা আর পারছি না। কেউ আমাদের জিজ্ঞেস করে না আমরা কেমন আছি। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খুলতে ইচ্ছুক।’
নগরীর মনোহরপুরে দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্মেলনে দোকানপাট খুলে দেয়াসহ চার দফা দাবি জানান সমিতির সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সানাউল হক।
চারটি দাবি হলো ৫ আগস্টের পর সব দোকানপাট খুলে দেয়া, প্রত্যন্ত অঞ্চল ও হাটবাজারে বুথ খুলে টিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করা, দোকান খোলার পর মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি না মানলে প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিচার্জ ও জরিমানা করার অনুমোদন এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রণোদনা।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, ‘কুমিল্লায় ২০ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী আছে। প্রতি প্রতিষ্ঠানে লোকবল আছে চার-পাঁচজন করে। আমরা নিজেরা ঋণ করে তাদের যতটুকু সম্ভব বেতন দিচ্ছি। পুরো বেতন না পাওয়ায় অনেকে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে।
‘বন্ধ দোকানের মালামালগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল, দোকান ভাড়া সব দিতে হচ্ছে। অথচ সরকার সবাইকে প্রণোদনা দিলেও আমাদেরকে দেয়নি। এ অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে হলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দোকানপাট খুলে দেয়ার পাশাপাশি প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কখনো সরকারের টাকা মেরে খাইনি, খাবও না।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম, চকবাজার মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী আশরাফ, স্টেশন রোড (উত্তর) ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল কাশেম, সাত্তার খান কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মামুনুল বকুল, কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, শাহাদাত খান সুমন, মোস্তাফিজুর রহমান বিপুসহ আরও অনেকে।