পৌঁছানোয় অনিশ্চয়তা জেনেও যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে রংপুরের বাসস্ট্যান্ডগুলোতে।
রংপুরের কামারপাড়া ঢাকা কোচস্ট্যান্ড ও মডার্ন মোড়ে রোববার সকাল থেকেই ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করতে দেখা গেছে পোমাকশ্রমিক ও বিভিন্ন বেসরকারি চাকরিজীবী যাত্রীকে।
তারা বলছেন, ‘বিধিনিষেধের করণে পৌঁছাতে পারব কি না তার নিশ্চয়তা নেই।’
১ আগস্ট থেকে পোশাক কারখানা খোলার খবরে শনিবার দিনভর যাত্রীদের চাপের কারণে রোববার দুপুর পর্যন্ত পরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসে। এরপর থেকেই রংপুরের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ঘুরে একই দৃশ্য দেখা গেছে।
তবে বাসের স্টাফরা রোববার দুপুরের পরও বাস ছাড়বেন বলে আগাম টিকিট বিক্রি করছেন। যদিও ঢাকায় প্রবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে বাস স্টাফ ও যাত্রীদের।
হৃদয় হোসেন নামে এক বাস কন্ট্রাক্টর বলেন, ‘যাত্রীদের চাপ আছে। আমরাও চিন্তায় আছি ঢাকায় যাইতে পারব কি না? তবুও যাচ্ছি, দেখা যাক কী হয়। যাত্রী থাকলে হয়তো আটকাবে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্যামলী গাড়ির এক সুপারভাইজার বলেন, ‘এসি গাড়ির জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া নেয়া হচ্ছে। আমাদের গাড়ি বেলা আড়াইটায় ছেড়ে যাবে। যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল না। কিন্তু যাত্রীর এত চাপ যে যেতেই হচ্ছে।’
ঢাকায় পৌঁছানো নিয়ে সন্দেহ আছে যাত্রীদেরও। ঢাকায় টেক্সটাইলে চাকরি করেন উত্তম সরকার। তিনি বলেন, ‘টেক্সটাইলে জব করি, আজ নাইট ডিউটি। কিন্তু ডিউটি টাইমের মধ্যে পৌঁছাতে পারব কি না, জানি না। কারণ, সন্ধ্যার পর যদি ঢাকায় ঢুকতে না দেয়? তবুও যাচ্ছি, যা হওয়ার হবে।’
হিরা মনি নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী ডেকো কোম্পানিতে চাকরি করেন। আজ ছুটি শেষ তাই যাচ্ছি। পরে যদি বাস বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তো আর যেতে পারব না।’
জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম মোজাম্মেল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি দুপুরের পর প্রশাসন গাড়ি চলতে দেবে না। তবু তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত হয় কি না জানি না।’
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক আহমেদ বলেন, ‘গাড়ি চলছে, কখন বন্ধ হবে এখন পর্যন্ত ম্যাসেস পাইনি।’