বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২১ ০১:৫৭

শুক্রবার বিকেলে শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ এলাকায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হাবিবপুর গ্রামের সেজান হোসেনের সঙ্গে গাড়াগঞ্জ এলাকার সজীবুলের মারামারি হয়। এ ঘটনার পর শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেজানের ভাই হাফিজুর রহমান শৈলকুপা থানার এস আই সাজ্জাদ হোসেন, কনস্টেবল রাশেদ হোসেনসহ আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গাড়াগঞ্জ বাজারে যান। এ সময় তারা গাড়াগঞ্জ স্ট্যান্ডে বসে থাকা আশরাফুলকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে আশরাফুলকে ছুরিকাঘাত করেন হাফিজ।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পুলিশের সঙ্গে গিয়ে আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীকে এক ব্যক্তি ছুরিকাঘাত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার পর শৈলকুপা থানার এক এসআই, পুলিশ সদস্য ও ওই ব্যক্তিকে আটক করে এলাকাবাসী।

ঘটনার প্রতিবাদে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী।

প্রত্যক্ষদর্শী মাহমুদ হোসেন জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ এলাকায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হাবিবপুর গ্রামের মজিদ শেখের ছেলে সেজান হোসেনের সঙ্গে গাড়াগঞ্জ এলাকার আশরাফুলের ছেলে সজীবুলের মারামারি হয়।

এ ঘটনার পর শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেজানের ভাই হাফিজুর রহমান শৈলকুপা থানার এস আই সাজ্জাদ হোসেন, কনস্টেবল রাশেদ হোসেনসহ আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গাড়াগঞ্জ বাজারে যান। এ সময় তারা গাড়াগঞ্জ স্ট্যান্ডে বসে থাকা আশরাফুলকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে আশরাফুলকে ছুরিকাঘাত করেন হাফিজ।

এ ঘটনার পর আশপাশের লোকজন ছুটে এলে এস আই সাজ্জাদ পুলিশ পরিচয় দেয়। ঘটনাস্থল থেকে অন্যরা পালিয়ে গেলেও এস আই সাজ্জাদ, কনস্টেবল রাশেদ ও হাফিজকে আটক করে রাখে এলাকাবাসী।

প্রত্যক্ষদর্শী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ সাদা পোশাকে এসেছিল। আর তাদের সঙ্গে যারা এসেছিল তাদের হাতে চাপাতি ও ছুরি ছিল। এসেই তারা আশরাফুলকে মারধর শুরু করে। পরে সেভেন গিয়ার ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আমরা গেলে এস আই সাজ্জাদ বলে আমরা পুলিশের লোক। আশরাফুলের নামে মামলা আছে তাই আসামি ধরতে এসেছি।’

এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। প্রায় ৩০ মিনিট সড়ক অবরোধের পরে সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম, শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিচারের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। পরে হাফিজ, পুলিশের এস আই, কনস্টেবলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তারা।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসিকে ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন। সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম জানান, পুলিশ আটক হয়নি। স্থানীয় একজন তাদের সেভ করে রেখেছিল। আর আশরাফুলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর