চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় সাংবাদিক পরিচয়ে একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকে এক প্যাকেট বিরিয়ানি ও এক হাজার টাকা দাবি করেন মো. ইমরান নামের এক ব্যক্তি। রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার কৌশলে বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডবলমুরিং থানার পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. ইমরান আগ্রাবাদ ডেবার পাড় এলাকার আব্দুর রহমান বাবুলের ছেলে।
হোটেলের ম্যানেজার শামীম বলেন, ‘লকডাউনের জন্য আমাদের শুধু পার্সেল সার্ভিস চালু আছে এবং তা ৫টা পর্যন্ত। কিন্তু দোকান মেরামতের কিছু কাজ থাকায় শাটার নামিয়ে কিছু কাজ চলছিল। এমন সময় ওই ভদ্রলোক এসে নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে বিরিয়ানি দিতে বলেন। বিরিয়ানি নেই বললে তিনি বলেন, আমাদেরও যদি না খাওয়ান তাহলে খাওয়াবেন কাকে?
‘এরপরও আমরা বিরিয়ানি নেই বললে তিনি ক্ষেপে যান এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে থাকেন। এ সময় লাইভে গিয়ে রেস্টুরেন্টের বারোটা বাজানোর হুমকি দেন তিনি। হোটেল কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তিনি এক প্যাকেট বিরিয়ানি ও এক হাজার টাকা দাবি করেন। তার দাবি পূরণ করার আশ্বাস দিয়ে আমরা কৌশলে পুলিশকে খবর দিই।’
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইমরান নামের ওই লোক মূলত ইয়াবা কারবারি। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় দুটি মামলা রয়েছে। তার বাবা এলাকায় ডাইল বাবুল ও মা ডাইল শারমিন নামে পরিচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইমরানের পড়াশোনা নবম শ্রেণি পর্যন্ত। ইয়াবা কারবারি হিসেবে পরিচিত হলেও সম্প্রতি গলায় নামসর্বস্ব দুটি গণমাধ্যমের পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ান। সবশেষ শুক্রবার রাতে আগ্রাবাদ এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এক প্যাকেট বিরিয়ানি ও এক হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। কৌশলে ম্যানেজার আমাদের খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এ সময় তার কাছ থেকে দৈনিক চট্টগ্রামের পাতা এবং আলোকিত চট্টগ্রাম ডটকম নামে দুটি সংবাদপত্রের পরিচয়পত্র ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।’
গ্রেপ্তার ইমরানকে শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক।