কোরবানির ঈদের পর সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যে রোববার থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা চালুর ঘোষণায় বন্দরনগরী চট্টগ্রাম মুখে মানুষের ঢল নেমেছে।
শনিবার দিনভর নগরীর তিন প্রবেশপথ-সিটি গেট, নতুন ব্রিজ ও অক্সিজেন এলাকায় দেখা গেছে মানুষের স্রোত।
নগরমুখী সবার মুখে একই কথা, অফিসে খুলবে রোববার। আর তাই চাকরি বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আসতে হচ্ছে শহরে।
নগরের সিটি গেট এলাকার ট্রাফিক পরিদর্শক শওকত বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকে শহরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। সবাই বলছে অফিস খোলা, রোববার থেকে অফিসে যোগ দিতে হবে। তাই তাদের শহরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে, কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত তো আমাদের না।’
রোববার থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা চালুর ঘোষণায় বন্দরনগরী চট্টগ্রাম মুখে মানুষের ঢল নেমেছে। ছবি: নিউজবাংলা
এ দিন শহরে কোনো গণপরিবহন প্রবেশ না করলেও ব্যক্তিগত গড়ির চাপ ছিল অনেক বেশি।
তিনি বলেন, ‘ঈদের পর থেকে যে কয়দিন লকডাউন চলেছে, আজ ব্যক্তিগত গাড়ি সবচেয়ে বেশি ঢুকেছে শহরে। রপ্তানিমুখী কারখানা যেহেতু খুলছে এসব কারখানার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের শহরে আসতে হচ্ছে।’
নগরীর অক্সিজেন এলাকায় কথা হয় গার্মেন্ট শ্রমিক আব্দুর রহিমের সঙ্গে।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খাগড়াছড়ি থেকে আসছি। সারাদিন পথেই কেটেছে। ১৫০ থেকে ২০০ টাকার গাড়ি ভাড়া আজ এক হাজার টাকার বেশি লেগেছে। অনেকটা পথ হেঁটেও এসেছি। আবার শহরে ঢোকার অনেক আগেই গাড়ি থেকে নামিয়ে দিছে।’
রাঙ্গামাটি থেকে আসা খালেদা বেগম বলেন, ‘আমরা না আসলে গার্মেন্টস চলবে না। অথচ গার্মেন্টস খোলার ঘোষণা দিয়ে গাড়ি যে বন্ধ রাখলো, আমরা কেমনে শহরে আসবো? এই কথা ভাবার কি কেউ নাই? আসলে নীতিনির্ধারকরা এসি গাড়িতে চলাচল করেন, তারা কী বুঝবে আমাদের কষ্ট!’