দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলছে শাটডাউন, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের কথা বলা হচ্ছে।
সরকারিভাবে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, ২৩ জুলাই থেকে টানা ১৪ দিন সব ধরনের কলকারখানা বন্ধ থাকবে। কিন্তু শুক্রবার জানানো হয় রোববার থেকে সীমিত পরিসরে পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা চালু করা হবে।
এতে বিপাকে পড়েছেন কলকারখানার শ্রমিকরা। গণপরিবহন না চলায় নদী পার হতে হচ্ছে ফেরিতে।
পাবনার কাজিরহাট ফেরিঘাটে শনিবার সকাল থেকে ছিল উপচে পড়া ভিড়। তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না কোনো ফেরিতে।
কাজিরহাট ঘাটের ব্যবস্থাপক মাহাবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, মানুষের চাপে কোনো ফেরিতে যানবাহন তোলা যায়নি। প্রতিটি ফেরিতেই ৩ হাজারের বেশি মানুষ ছিল।
ফেরিঘাটে কর্মরত সাদ্দাম হোসেন জানান, প্রতিটি ফেরিতে সাধারণত ১ থেকে দেড় হাজার যাত্রী পার করা হয়। সেখানে শনিবার পার হচ্ছে ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ।
ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন মনির হোসেন। তিনি জানান, ৫ আগস্ট পর্যন্ত কারখানা বন্ধের ঘোষণায় পরিবার নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন। হঠাৎ করে কারখানা খোলার সিদ্ধান্তে বিপদে পড়েছেন। পরিবারের সদস্যদের রেখে একাই এখন ফিরতে হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী বলেন, ‘করোনার ভয়াবহতার কথা মাথায় না রেখে এভাবে চলাচল করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এভাবে চলাচল করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’