ঢাকার সাভারে সন্ত্রাসী হামলা ও মারধরের ঘটনায় মামলা করেছেন বেসরকারি টেলিভিশনের এক চিত্রসাংবাদিক। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানায় শনিবার সকালে তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন সময় টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিক মনির হোসেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিউল্লাহ শিকদার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন ভোলা জেলার সদর থানার পাঙ্গসা গ্রামের আব্দুস সোবহান, পাবনা জেলার সুজানগর থানার মানিকহাট গ্রামের রবিউল ইসলাম ও মো. ফারুক। তারা সবাই আশুলিয়ার আমিন মডেল টাউন এলাকার বাস করতেন।
এসআই জানান, রবিউল ও ফারুককে শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। আর রাতে আটক করা হয় সোবহানকে। শনিবার সকালে করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে রাজধানীর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শুক্রবার বিকেলে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ কবরস্থান রোডের আমিন মডেল টাউন এলাকার মারজান টাওয়ার নামে ‘অনুমোদনহীন’ নয়তলা ভবনে সংবাদ সংগ্রহে যান সাংবাদিক মনির। এ সময় অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে গালিগালাজ ও কিল-ঘুষি মারা হয়। এ সময় ক্যামেরা ও বুম ভাঙা হয়। গাড়িচালক রাশেদ এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। ভেঙ্গে ফেলা হয় তাদের মোবাইল ফোন।
হামলার ঘটনা ধারণ হয়েছে সিসিটিভিতে। ফুটেজে ওই সাংবাদিককে মারধর ও লাঞ্ছিতের বিষয়টি স্পষ্ট। দেখা যায়, দলবদ্ধ হয়ে টেনেহিঁচড়ে ওই সাংবাদিককে মারধর করা হচ্ছে।
সাভার ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসের আওতাধীন নয়তলা ভবনটি ‘অনুমোদন’ ছাড়া ৫২ জন মিলে যৌথভাবে নির্মাণ করেন। গত ২ জানুয়ারি সাভার ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার (উপসচিব) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভুঞা স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
নির্মাণকাজ বন্ধসহ ভবনের বাসিন্দাদের ১০ দিনের মধ্যে ভবন ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয় নোটিশে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি ভবনমালিকদের পক্ষে শারাফাত আলী অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের কথা স্বীকার করে ক্যান্টনমেন্ট বরাবর ক্ষমা চেয়ে একটি আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে মালিকপক্ষ উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে, চিত্রসাংবাদিক মনির হোসেনকে মারধরের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।