চলমান শাটডাউনে পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেয়ায় ফেরিঘাটে, মহাসড়কে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
২৩ তারিখ থেকে ১৪ দিন বন্ধ রাখার সরকারি ঘোষণা দেয়া হলেও শুক্রবার জানানো হয় রোববার থেকে সীমিত পরিসরে শিল্পকারখানা চালু করা হবে।
তবে শাটডাউনের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।
ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটে শনিবার সকাল থেকেই দেখা যায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী হাজারো শ্রমিক চেষ্টা করছে ফেরিতে নদী পার হওয়ার।
অনেকে নিষেধাজ্ঞা না মেনে ট্রলার ও স্পিডবোটে মেঘনা পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছে। তবে প্রশাসনের বাধার মুখে কোনো ট্রলারই ঘাট ছেড়ে গন্তব্যে যেতে পারেনি।
গাজীপুরের এক গার্মেন্টস শ্রমিক মো. দেলোয়ার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শাটডাউনে গার্মেন্টস বন্ধ তাই বউ-পোলাপাইনের লগে বাড়িতে ছিলাম। কালকে অফিস থেকে ফোন দিছে কাজে যোগ দিতে হবে। বাড়ি থেকে একটু আগে আসলে ফেরিটা পাইতাম। এখন ট্রলার বা স্পিডবোটে নদী পার হতে হবে।’
আরেক গার্মেন্টস শ্রমিক আফজাল হোসেন যাবেন চট্টগ্রামের ইপিজেডে। তিনি বলেন, ‘সরকার গার্মেন্টস খুইলা দিছে ভালো। কিন্তু তার আগে আমরা যে যামু তার ব্যবস্থা করা দরকার আছিল। তাইলে আমাগো এই দুর্গতি হইত না।’
ইলিশা নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল বাদশা জানান, সকাল থেকে ইলিশা ফেরিঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিলো। একপর্যায়ে হাজারো যাত্রীর চাপে পুলিশ প্রশাসন নিরুপায় হয়ে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের ইলিশা ঘাটের ম্যানেজার মো. পারভেজ জানান, যাত্রীদের চাপে ফেরিতে গাড়ি বেশি উঠাতে পারছেন না। ফেরি ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে উঠে যাচ্ছেন।