পাবনার চাটমোহরে নির্যাতনের শিকার এক গৃহবধূকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
বাবা ও স্বজনদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে কুমারগাড়া গ্রাম থেকে শুক্রবার দুপুরে তাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই সময় পালিয়ে যান তার স্বামী জনি হোসেন।
উদ্ধার হওয়া গৃহবধূর নাম মুন্নী খাতুন। এ দম্পতির ৬ মাসের একটি সন্তান রয়েছে।
মুন্নীর স্বজনদের অভিযোগ, দুই বছর আগে মুন্নীর বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন জনি। সম্প্রতি নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। উদ্ধারের আগের দিন মুন্নীকে বেধড়ক মারধরের সময় তার কান ছিঁড়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
বিষয়টি জানার পর স্বজনদের নিয়ে শুক্রবার কুমারগাড়া গ্রামে যান মুন্নীর বাবা। ওই সময় মুন্নীর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের হুমকি দেয়ার পাশাপাশি বাড়িতে ঢুকতে নিষেধ করেন। পরে মুন্নীর বাবা ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পুলিশকে জানান।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে মুন্নীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জনির বাড়ি থেকে চাপাতি, ছুরি, রামদা, হাঁসুয়াসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, এখনও থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।