বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল ওহাবের নামে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী নিজেই শেরপুর থানায় শুক্রবার রাতে মামলা করেন।
মামলার এহাজার সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের আত্মীয় শহিদুল ইসলামের কাছে একই ইউনিয়নের এক নারী ৫০ হাজার টাকা পান। দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা তুলতে না পারায় চেয়ারম্যানকে জানান ওই নারী।
পরে ওই নারীকে পাওনা টাকা তুলে দেয়ার আশ্বাস দেন চেয়ারম্যান। শুক্রবার বিকেলে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওই নারীকে চেয়ারম্যানের ভাড়া বাসায় (শেরপুর পৌরসভা জগন্নাথপাড়ায়) ডেকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় রাতে ওই নারী শেরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
ওই নারী বলেন, ‘আমাকে পাওনা টাকা তুলে দেয়ার কথা বলে বাসায় আসতে বলেন। বাসায় গেলে চেয়ারম্যান আমাকে ধর্ষণ করেন। পরে আমি থানায় এসে মামলা করি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
শেরপুর থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গতকাল রাতেই মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী নিজে মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’