নওগাঁর মহাদেবপুরে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আদালতের মাধ্যমে শনিবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার বকুল হোসেন অটো গ্যাস ফিলিং স্টেশনের নাইটগার্ড ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলার চৌমাশিয়া গ্রামে।
এর আগে উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কসংলগ্ন বাগাচারা এলাকায় শুক্রবার দুপুরে নির্মাণাধীন অটো গ্যাস ফিলিং স্টেশনের সাইট অফিসে হাত-পা বেঁধে কিশোর শিহাবকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
শিহাব হোসেন একই উপজেলার বাগাচারা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। সে নওগাঁ সদরে হাপানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মারধরের ঘটনার পর চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে মহাদেবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে বলে জানান চিকিৎসকরা।
মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মারধর করার কারণে শিশুর শরীরের বিভিন্ন স্থান মারত্মকভাবে জখম হয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি শিশুটিকে সাধ্য অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে। তবে আরও উন্নত চিকিৎসা করাতে পারলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।’
বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার সকালে নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া ভুক্তভোগী শিশুর বাবার সঙ্গে কথা বলে তার চিকিৎসা ও ওষুধের সব খরচের দায়িত্ব নেন।
শিহাবের বাবা খোরশেদ আলম জানান, এমন পরিস্থিতিতে এসপি স্যার সহায়তার হাত বাড়ানোর জন্য স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘সাধ্য অনুযায়ী শিহাব ও তার পরিবারের পাশে থাকব। পুলিশের একটি টিমকে পাঠানো হয়েছিল শিহাবের সার্বিক চিকিৎসা নিশ্চিত করাসহ সব ধরনের সহায়তার জন্য। শিহাব সুস্থ হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক, এটাই প্রত্যাশা করছি।’
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, আটক বকুল হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেন। শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।