ঝালকাঠি থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত আসতেই অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে গাজীপুরের গার্মেন্টস কর্মী মো. শফিকের। যেতে হবে ঢাকায়।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষার কিছুদূর এগিয়ে নগরীর জিয়া সড়কের মুখে গিয়ে দেখেন, ঢাকাগামী যাত্রীরা একটি ট্রাকে উঠছে। কাছে গিয়ে ভাড়া জানতে চাইলে ট্রাকচালক হাঁকেন ৮০০ টাকা। শফিক ৬০০ টাকা বললেও রাজি হননি।
এরপর ভাড়ায় চলা মোটরসাইকেল চালকদের কাছে যান তিনি। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত যেতে তারা চাইলেন ৪ হাজার টাকা। কিছুক্ষণ পর একটি মাহিন্দ্রা ৭০০ টাকায় যেতে রাজি হলে তাতে চড়েই শুরু হয় শফিকের যাত্রা।
মাহিন্দ্রাতে চড়ার আগ মুহূর্তে নিউজবাংলার প্রতিবেদককে দুর্ভোগের এই কথা জানান তিনি।
গার্মেন্টস খোলার খবরে শফিকের মতো রাজধানীমুখী শ শ শ্রমিক বরিশাল বাস টার্মিনাল এলাকায় শনিবার সকাল থেকে জড়ো হয়েছেন। যানবাহন না থাকায় অনেকেই হেঁটে রওনা হয়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পরে।
পরিবহন না পেয়ে এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে চলাচালরত পণ্যবাহী ট্রাকের পথরোধ করতে থাকে। খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
বরগুনা জেলার রমিজ উদ্দিন জানান, গাজীপুরে একটি পোষাক কারখানায় টেকনিশিয়ান পদে কাজ করেন তিনি। কর্মস্থল থেকে জরুরি ডাক এসেছে। বরগুনা থেকে বরিশাল পর্যন্ত আসতেই ১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। মোটরসাইকেল, থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রা, অটোরিকশা আর ট্রাকের পেছনে ঘুরেও ভাড়ায় মেলেনি। বাধ্য হয়ে হেঁটেই রওনা দেন।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বাস টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়নও রয়েছে।’