কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এর আগে তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেন।
শুক্রবার দুপুরে মা রহিমা খাতুনের মৃত্যু হয়। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের আজমপুর এলাকার আশরাফুল আলমের স্ত্রী।
স্থানীয় হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন রহিমা।
হাসপাতাল ও আত্মীয়স্বজন সূত্র জানায়, ২০ জুলাই রহিমার শরীরে জ্বরসহ করোনার কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। ২৩ জুলাই তাকে কুষ্টিয়া ২৫০-শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। নমুনা পরীক্ষায় তিনি পজিটিভ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি কর হয়।হাসপাতালের চিকিৎসক তানমিনা তাবাসসুম জানান, ২৪ জুলাই থেকেই রহিমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাকে বেশিরভাগ সময়ই অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল। তাকে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলায় অক্সিজেন দেয়া হচ্ছিল।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ রহিমা খাতুন পেটে ব্যথা অনুভব করেন। তাৎক্ষণিকভাবে নার্স ও আয়ারা ওয়ার্ডের ভেতরে বাচ্চা প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে মৃত ছেলেসন্তান প্রসব করেন রহিমা।
চিকিৎসক জানান, সন্তান প্রসবের পর পরই রহিমার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৫৫-৬০ ওঠানামা করছিল। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তিনি মারা যান।
হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আক্রামুজ্জামান মিন্টু জানান, করোনায় আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বাদের চিকিৎসা দেয়া একটু কঠিন। তারপরও রহিমা ছিলেন ৩২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। সব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি।