ঢাকার সাভারে একটি ‘অনুমোদনহীন’ বহুতল ভবনের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের চিত্রসাংবাদিক। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত সাংবাদিক ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ কবরস্থান রোড এলাকার আমিন মডেল টাউনে শুক্রবার বিকেলে হামলার ওই ঘটনা ঘটে।
আহত মনির হোসেন ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় সময় টেলিভিশনের চিত্রসাংবাদিক হিসেবে কর্মরত।
তার ওপর হামলার ঘটনাটি ধারণ হয়েছে সিসিটিভিতে। ফুটেজে ওই সাংবাদিককে মারধর ও লাঞ্ছিতের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। দেখা যায়, দলবদ্ধ হয়ে টেনেহিঁচড়ে ওই সাংবাদিককে মারধর করা হচ্ছে।
সাংবাদিক মনির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অবৈধভাবে নির্মিত নয়তলা ভবনের ছবি সংগ্রহের জন্য আমি সেখানে যাই। ফুটেজ সংগ্রহের সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১০-১২ জন আমার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় আমাকে গালিগালাজ ও কিল-ঘুষি মারতে থাকে তারা। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সহায়তায় আমি প্রাণে বাঁচি। এ সময় পুলিশ দুজনকে আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে ভবনের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিউল্লাহ শিকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সময় টিভির চিত্রসাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে আইনগত বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন।’
সাভার ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসের আওতাধীন নয়তলা ভবনটি ‘অনুমোদন’ ছাড়াই ৫২ জন মিলে যৌথভাবে নির্মাণ করেন। গত ২ জানুয়ারি সাভার ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার (উপসচিব) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভুঞা স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
নির্মাণকাজ বন্ধসহ ভবনের বাসিন্দাদের ১০ দিনের মধ্যে ভবন ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয় নোটিশে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি ভবনমালিকদের পক্ষে শারাফাত আলী অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের কথা স্বীকার করে ক্যান্টনমেন্ট বরাবর ক্ষমা চেয়ে একটি আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে মালিকপক্ষ উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয় বলে জানা গেছে।