ঈদ-পরবর্তী শাটডাউনের অষ্টম দিনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ ও যাত্রীর ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে।
নৌপথের সচল ৯টি ফেরিতে শুক্রবার সকাল থেকে বৈরী আবহওয়ার মধ্যেও পার হচ্ছেন শত শত যাত্রী ও গাড়ি।
শুধু জরুরি ও লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও একেবারেই মানা হচ্ছে না।
ঘাটের অভিমুখে পুলিশের চেকপোস্ট ও ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হলেও যাত্রীরা দেখাচ্ছেন নানা অজুহাত। বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসা অনেকেই ঢাকায় যাচ্ছেন।
ফেরিতে যাত্রীর চাপ ও জড়সড় অবস্থানে উধাও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।
শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে ঢাকামুখী যাত্রীরা পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে রওনা হচ্ছেন ঢাকায়। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে দুই থেকে তিন গুণ বেশি ভাড়া।
যাত্রীদের দাবি, জীবিকার জন্য কর্মস্থলে যাওয়ার পাশাপাশি নানা প্রয়োজনেই ছুটছেন তারা।
মাদারীপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রী কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমার দাদি অসুস্থ। তাই ঢাকা যাচ্ছি। ঈদের আগে বাড়ি এসেছিলাম। দাদি অসুস্থ না হলে এভাবে ভেঙে ভেঙে ঢাকা যেতাম না।’
গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাত্রী নাসির হাওলাদার বলেন, ‘প্রায় ১৫ দিন ধরে বাড়ি এসেছি। পরিবার ঢাকা থাকে তাই চলে যাচ্ছি।’
জানতে চাইলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক শাফায়েত আহমেদ জানান, নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ৯টি ফেরি সচল রয়েছে। শুধু জরুরি গাড়ি পারাপারেই ফেরি চালু রয়েছে। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী যাত্রীর সংখ্যা কম।
তবে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসা প্রতিটি ফেরিতেই চাপ রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় দেড় শতাধিক যানবাহন রয়েছে যার মধ্যে পণ্যবোঝাই ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ঘাটে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ বলেন, ‘যাত্রীরা নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। অনেকে অসুস্থ, কেউ বিদেশ যাবেন, কেউ টিকা নেবেন; কারও পরিবারের সদস্যের মৃত্যু হয়েছে, কেউ সিম কোম্পানির নেটওয়ার্ক বিভাগে কাজ করছেন।
‘কিছু লোক বলছেন তাদের অফিস থেকে কল আসছে। তাই তারা যাচ্ছেন। ফেরির বিষয়ে ফেরি কর্তৃপক্ষ দেখছে। যদি এমনি কেউ ঘুরতে আসে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। অযৌক্তিক কারণে নদী পারের চেষ্টা করলে তাদের পুশব্যাক করা হচ্ছে।’