বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাহাড়ধস: নিরাপদ আশ্রয়ে ২ হাজার মানুষ

  •    
  • ৩০ জুলাই, ২০২১ ১০:২২

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন পাহাড় ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে অন্তত ৫০০ পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুকে সরিয়ে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

কক্সবাজারে পাহাড়ধসের শঙ্কায় অতি ঝুঁকিতে থাকা প্রায় ২ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন,‌ ‘ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পাহাড়ের ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

‘জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। টানা বৃষ্টিতে গ্রামীণ সড়কগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আড়াই লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।’

তিনি জানান, এরই মধ্যে বন্যা, প্লাবন ও পাহাড়ধসে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারে ৫ লাখ টাকা ও ১৫০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন পাহাড় ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে অন্তত ৫০০ পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুকে সরিয়ে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক এসব মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানান, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি জানান, এসব প্রান্তিক মানুষকে স্থায়ী আবাসনের জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে।

গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে কক্সবাজারে পানি ঢুকেছে ৪৫ ইউনিয়নের ৪২০ গ্রামে। পাহাড়ধস ও ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে প্রাণ গেছে ২০ জনের।

এ অবস্থায় ভূমিধসের আশঙ্কায় শহরের লাইট হাউস, ফাতের ঘোনা, সৈকত পাড়ার ৫১ একর সংলগ্ন বাঘঘোনা, ঘোনারপাড়া, বৈদ্য ঘোনা, বাদশা ঘোনা, ‌‌কলাতলী, খাজা মন্দির, রুমালিয়া ছড়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরিয়ে প্রায় ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়।

ডিসি মামুনুর রশিদ জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে আনা মানুষগুলোকে প্রাথমিক চিকিৎসা, শুকনো ও রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে।

এদিকে দুই হাজার পরিবারের ৯ হাজার রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে নেয়া হয়েছে বলে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও তাদের নিজেদের ঘরে ফিরিয়ে আনা হবে।’

ঝুঁকি নিয়ে বসবাস

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজারে বনভূমির পরিমাণ ৭৩ হাজার ৩৫৮ হেক্টর। এর মধ্যে অবৈধ দখলে ৯ হাজার ৬৫৭ হেক্টর। পাহাড়ি জমিতে বসবাস করছে ১৩ হাজার ৮২৬ পরিবার।

কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির জানান, কক্সবাজারে দক্ষিণ বন বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলে ৩ হাজার ৫২৫টি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে। তার মধ্যে কক্সবাজার শহরে ৯৪৫টি পরিবার। তাদের দিনে উচ্ছেদ করলে রাতে ফের দখল করে।

প্রাণহানি নিয়মিতই

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গেল আট বছরে (২০১৩-২০২১) পাহাড়ধসের ঘটনায় অন্তত ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

২০১০ সালের জুনে কক্সবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড়ধসের ঘটনায় সাত সেনা সদস্যসহ ৫৬ জনের মৃত্যু হয়।

২০১৫ সালের জুলাইয়ে কক্সবাজার শহরের রুমালিয়াছড়ায় ভয়াবহ পাহাড়ধসে একই পরিবারের তিনজনসহ প্রাণ হারান পাঁচজন।

সর্বশেষে জুলাইয়ে মহেশখালী, উখিয়া ও টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গাসহ ১৩ জন প্রাণ হারান।

এ বিভাগের আরো খবর