বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে পাহাড় থেকে সরানো হলো ১৩০ পরিবার

  •    
  • ২৯ জুলাই, ২০২১ ২৩:০৯

‘ছয়টি পাহাড় থেকে ১৩০ পরিবারের ৫০০ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রামের একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং ছয় জন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ অভিযান পরিচালনা করেন।’

ভূমিধসের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকটি পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত ১৩০টি পরিবারের প্রায় ৫০০ জন মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, ‘ছয়টি পাহাড় থেকে ১৩০ পরিবারের ৫০০ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রামের একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং ছয় জন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ অভিযান পরিচালনা করেন।’

গত এক সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় থেমে থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে চট্টগ্রামে গত তিনদিন ধরে কখনও হালকা আবার কখনও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। এ অবস্থায় ভূমিধসের আশঙ্কায় নগরীর বাটালি হিল, মতিঝর্ণা, আকবরশাহ, হিল-১, হিল-২ এবং বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন পাহাড়ে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের টিম।

সেখান থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরিয়ে চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- বায়েজিদের আল হেরা মাদ্রাসা, রউফাবাদ রশিদিয়া মাদ্রাসা, ফিরোজ শাহ কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লালখান বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান জানিয়েছেন, আশ্রয়কেন্দ্রে আনা পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের ভুনাখিচুড়ি ও ডিম সরবরাহ করা হবে। রাতের খাবারও দেওয়া হবে।

২০১৯ সালে সরকারিভাবে গঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি চট্টগ্রামে বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের তালিকা করেছিল। সেই তালিকা অনুযায়ী, চট্টগ্রামে মোট ১৭টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি আছে। এর মধ্যে ১০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়। বাকি সাতটি বিভিন্ন সরকারি সংস্থার। এসব সংস্থার মধ্যে আছে- রেলওয়ে, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, গণপূর্ত বিভাগ, বন বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালের তালিকায় ১৭টি পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবারকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসের জন্য চিহ্নিত করা হয়।

২০০৭ সালে পাহাড় ধসে চট্টগ্রামে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে। ওই বছরের ১১ জুন নগরীর কুসুমবাগ, কাইচ্যাঘোনা, সেনানিবাসের লেডিস ক্লাব সংলগ্ন লেবুবাগান, বায়েজিদ বোস্তামী, লালখান বাজারের মতিঝর্ণা পাহাড়সহ সাতটি স্থানে পাহাড় ধসে মাটিচাপা পড়ে মারা যায় শিশু-নারীসহ বিভিন্ন বয়সের ১২৭ জন।

পরের বছর পাহাড় ধসে ২০০৮ সালে মারা যান ১২ জন। আর ২০১১ সালে একই পরিবারের পাঁচজনসহ ১৭ জন এবং ২০১২ সালে ২৩ জন। এভাবে প্রতিবছরই পাহাড় ধসে মাটিচাপায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়।

এ বিভাগের আরো খবর