বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিম্নবিত্ত রোগীদের পাশে অ্যাম্বুলেন্স ও অটোরিকশা নিয়ে পুলিশ 

  •    
  • ৩০ জুলাই, ২০২১ ০১:০১

বিনামূল্যে এই পরিবহন সেবা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। ০১৩২০০৫২৭৪৯ নম্বরে ফোন করলেই যে কোনো রোগীকে বাসার সামনে থেকে নির্দিষ্ট হাসপাতালে পৌঁছে দেবে অ্যাম্বুলেন্স বা অটোরিকশা। একইভাবে হাসপাতাল থেকে বাসায়ও যেতেও পাওয়া যাবে এই সুবিধা।

কঠোর লকডাউনে বন্ধ গণপরিবহন। এ কারণে হাসপাতালে আসা যাওয়া নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং ও কোতোয়ালি থানায় আলাদা দুজন প্রসূতিকে পুলিশের গাড়িতে হাসপাতালে নেয়ার ঘটনা ঘটে। এই দুই প্রসূতিই ছিলেন নিম্নবিত্ত পরিবারের।

এই সমস্যা সমাধানে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা পুলিশ। অর্থাভাবে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া না করতে পারা মানুষদের জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স ও সিএনজি অটোরিকশা সেবা চালু করা হয়েছে থানার পক্ষ থেকে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ডবলমুরিং থানা প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) আবদুল ওয়ারীশ।

উপকমিশনার বলেন, ‘যান চলাচল বন্ধ থাকায় রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন। সামর্থ্যবানরা অ্যাম্বুলেন্সে করে যেতে পারলেও বিপাকে পড়েছেন মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তাদের কথা বিবেচনা করেই আমাদের এই বিনামূল্যে পরিবহন সেবা।’

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘করোনায় রোগীদের পরিবহন সংকট নিরসনে ডবলমুরিং থানার পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, থানার এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মাশরাফুল ইসলাম শাকিল। তিনি একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন।

স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ধনিয়ালাপাড়া বন্ধু মহল, মুহুরীপাড়া এলাকার ডলফিন ক্লাব, সিডিএ আবাসিক এলাকার আরএসকে ক্লাব, আগ্রাবাদের এস এস ট্রেডিং, পাহাড়তলী ঝর্ণাপাড়ার সায়মা প্রোপার্টিজ এবং পাঠানটুলি খান বাড়ির ব্যবসায়ী আসাদ খান একটি করে সিএনজি অটোরিকশা দিয়েছেন।

ওসি জানান, বিনামূল্যে এই পরিবহন সেবা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। ০১৩২০০৫২৭৪৯ নম্বরে ফোন করলেই যে কোনো রোগীকে বাসার সামনে থেকে নির্দিষ্ট হাসপাতালে পৌঁছে দেবে অ্যাম্বুলেন্স বা অটোরিকশা। একইভাবে হাসপাতাল থেকে বাসায়ও যেতেও পাওয়া যাবে এই সুবিধা।

এই কার্যক্রম আপাতত ডবলমুরিং থানা এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে রোগীর অবস্থা বিবেচনায় ডবলমুরিং থানা এলাকার বাইরেও এই সেবা দেয়া হবে।

গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকা পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশার সেবা চালু থাকবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা লকডাউনের পরও অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এর আগে ডবলমুরিং থানার ওসি মহসীন নগরীর আগ্রাবাদ এলাকা থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দেন এক প্রসূতিকে। এর কিছুক্ষণ পরেই ওই নারী একটি ছেলের জন্ম দেন।

হেনা বেগম নামের ওই প্রসূতি ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ গায়েবি মসজিদ এলাকার রেজাউল করিমের স্ত্রী। রেজাউল করিম পেশায় একজন ভ্যানচালক।

ওসি মহসীন বলেন, ‘রেজাউলকে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে লকডাউনে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করি। পরে তিনি জানান তার স্ত্রী প্রসূতি এবং ওনার প্রসব ব্যাথা শুরু হয়েছে। তখন দেরি না করে গাড়ি দিয়ে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দেই।’

থানার কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পংকজ দত্ত, সহকারি কমিশনার মাহামুদুল হাসান মামুন, ডাবলমুরিং পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ রানাসহ আরও অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর