মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেনের অভাবে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল রানা সোহাগ নামে ওই যুবক মারা যান। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সোহেলের স্বজনরা।
সোহেলের বাড়ি হরিরামপুরের ধূলসুরা ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রামে। তিনি ইব্রাহিমপুর ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন জানান, সোহেল কয়েকদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতেই ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে দুপুর ১২টার দিকে তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, সোহেলকে ভর্তির পর নার্সরা যে অক্সিজেন দিয়েছিলেন তা আধা ঘণ্টা পর শেষ হয়ে যায়। ওই সময় নার্স ও চিকিৎসককে ডেকেও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা যায়নি। বিকেল ৩টার দিকে তিনি শ্বাসকষ্টে মারা যান।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার মানবেন্দ্র সরকার বলেন, ‘রোগীকে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আমরা তাকে দ্রুত অক্সিজেনসহ সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।
‘তার চিকিৎসায় আমাদের কোনো গাফিলতি ছিল না। এ ছাড়া হাসপাতালে শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি। রোগী বেশি হওয়ায় অক্সিজেনের সংকটও রয়েছে।’
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ সোহেলের স্বজনদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘রোগীকে সংকটাপন্ন অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু স্বজনরা রোগীকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলেন। পরে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোগী মারা যাওয়ার পর তার স্বজনরা নার্স ও ডাক্তারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ওই সময় হাসপাতালে ভাঙচুর করতে গেলে পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়েছে।’