বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শত্রুতার জেরে হামলা, বিচ্ছিন্ন পা পুলিশ হেফাজতে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৯ জুলাই, ২০২১ ২০:৪৬

কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ‘এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে দুই গ্রুপের বিরোধ চলেছে। তারই জেরে ঘটনা ঘটেছে। আমরা রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মিরাজের বিচ্ছিন্ন পা উদ্ধার করে নিয়ে আসি। আসামিদের ধরাতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।’

মাদারীপুরের কালকিনিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ মিরাজ খাঁন নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে শরীর থেকে পা বিছিন্ন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫০ বছর বয়সী মিরাজের বিচ্ছিন্ন পা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।

হামলায় মিরাজের ছেলে নাজমুল খাঁনকেও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।

বুধবার রাত পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের কালাই সরদারের চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে জানায়, কালাই সরদারের চর এলাকার মিরাজ ও তার ছেলে নাজমুল বুধবার বিকেলে একই ইউনিয়নের মৌলভীকান্দি গ্রামে নাজমুলের শ্বশুর আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে যান। রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন।

রাত পৌনে ৩টার দিকে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে একদল দুর্বৃত্ত। তাদেরকে বাধা দিতে গেলে পিটিয়ে আহত করা হয় নারীসহ ৫ জনকে। দুর্বৃত্তরা মিরাজ ও নাজমুলকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এ সময় কুপিয়ে মিরাজের বাঁ পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

স্থানীয় লোকজন আহত বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে মিরাজের লোকজন স্থানীয় সমিতির হাট এলাকার কাসেম তালুকদারের ছেলে তাইজুল তালুকদারকে কুপিয়ে আহত করে। তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকার লোকজন জানান, পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কবির খান ও আফান কাজী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। গত নির্বাচনেও এ দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার হামলা-মামলার ঘটনা ঘটে।

আফান কাজী গ্রুপের সঙ্গে একাট্টা হয়েছেন বাদল তালুকদার। তিনি গতবার পূর্ব এনায়েতনগর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন। ওই নির্বাচনে কবির খানের স্ত্রী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পা বিচ্ছিন্ন হওয়া মিরাজ ও তার ছেলে নাজমুল কবির খান গ্রুপের সমর্থক।

এ বিষয়ে কাসেম তালুকদার বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে ছেলেকে নিয়ে ঘরে ঢোকামাত্র ওরা দা দিয়ে কুপিয়েছে।’

এ বিষয়ে কবির খান বলেন, ‘আফান কাজী ও জামাল কাজীর লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করেছে। রাতে ঘুমন্ত মিরাজের পা আলাদা করে ফেলেছে তারা। এই ঘটনার সঙ্গে রাঘব-বোয়লরাও আছে। দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা হলে গ্রেপ্তার করতে হবে। এমন নির্মম ঘটনার বিচার চাই।’

নাজমুলের শাশুড়ি রেভা বেগম বলেন, ‘তারা ঘরে ঢুকে মিরাজের পা কেটে বিছিন্ন করেছে, হামলায় আমরা সবাই আহত হয়েছি। তবে কারা এ হামলা চালিয়েছে স্পষ্ট করে বলতে পারবো না। ওই সময় আমরা তাদের ক্লিয়ার করে চিনি নাই।’

ঘটনার পর থেকে আফান কাজী ও জামাল কাজীকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ‘এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে দুই গ্রুপের বিরোধ চলেছে। তারই জেরে ঘটনা ঘটেছে। আমরা রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মিরাজের বিচ্ছিন্ন পা উদ্ধার করে নিয়ে আসি। আসামিদের ধরাতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।’

মিরাজের পরিবার মামলা দিলে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি ইশতিয়াক।

এ বিভাগের আরো খবর