বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই লাখ টাকায় দুইটি বাঁশের সাঁকো

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২১ ২২:১৬

ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর সেখানে লোহার ব্রিজ তৈরি না করে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছে। এরপর তারা দুটি ব্রিজের জন্য ২ লাখ টাকার বিল তোলে।

বরিশালের বানারীপাড়ায় দুটি খালের ওপর লোহার ব্রিজ তৈরির জন্য বরাদ্দ দেয়া হলেও তৈরি করা হয়েছে দুটি কাঠের সাঁকো।

এমন অভিযোগ ওঠার পর তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার উপসচিব শহীদুল ইসলাম।

জেলা পরিষদ থেকে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উদয়কাঠি ইউনিয়নের পূর্ব-উদয়কাঠী মুন্সিবাড়ি ও বাইশারী ইউনিয়নের দান্ডয়াট মোল্লা বাড়ির সামনে খালের উপর দুটি লোহার ব্রিজ তৈরির জন্য ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়। প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের ব্রিজ নির্মাণে ১ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয় জেলা পরিষদ।

ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর সেখানে লোহার ব্রিজ তৈরি না করে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছে। এরপর তারা দুটি ব্রিজের জন্য ২ লাখ টাকার বিল তোলে।

সাঁকোর গোড়ার নামফলকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম থাকার কথা থাকলেও তার বদলে রয়েছে জেলা প্রশাসনের নাম।

জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে জানা যায়নি ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম।

পূর্ব-উদয়কাঠী মুন্সিবাড়ির আবুল হোসেন জানান, কয়েক বছর আগে তাদের বাড়ির সামনের খালে স্থানীয় মেম্বার আব্দুল হালিম কাঠ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করে দিয়েছিলেন। ওই সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ার পর বাঁশ, সুপারি, মেহেগনি গাছ দিয়ে তারা সাঁকো বানিয়ে চলাচল করতেন।

এরপর সরকারি বরাদ্দের টাকায় লোহার ব্রিজ করার কথা থাকলেও সেখানে হয়েছে কাঠের সাঁকো।

সাঁকো দুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদ সদস্য আওরঙ্গজেব হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এলাকার গণ মানুষের চলাচলের প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও লোহার ব্রিজসহ মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের তালিকা (প্রকল্প) জেলা পরিষদে জমা দিয়ে থাকি।

‘এখানে কোনো রকম অনিয়ম হলে জেলা পরিষদের পরবর্তী সভায় ঠিকাদারসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বরিশাল জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানা বলেন, ‘জেলা পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র প্রক্রিয়ায় লটারির মাধ্যমে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই কাজটি পায়। সেখানে যে অনিয়মের কথা শুনেছি তাতে লকডাউন শেষে অফিস খোলার পর ঠিকাদারকে খুঁজে বের করে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাইশারী ইউনিয়ন থেকেও এমন খবর শুনেছি।’

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার উপসচিব (ডিডিএলজি) শহীদুল ইসলামও বলেন, ‘এই বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর