কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় বিয়ের পরদিন এক কিশোরীকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মেয়েটিকে অপ্রাপ্তবয়সে তার অমতে বিয়ে দেয়া হয়।
তবে এ ঘটনায় মেয়েটির মা অপহরণ এবং ধর্ষণের অভিযাগে মামলা করেছেন।
এজাহার অনুযায়ী সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মেয়েটির।
কিন্তু মেয়ের পরিবার গত ২১ জুলাই উলিপুর উপজেলার পৌর শহরের এক বাসিন্দার সঙ্গে তার বিয়ে দেয়।
২২ জুলাই ভোরে ওই যুবক মেয়েটিকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়ে যান। স্বামী সকালে উঠে স্ত্রীকে না পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে খবর দেন। পরে ২৬ জুলাই মেয়ের পরিবারের লোকজন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কাজল দীঘি এলাকার একটি বাড়িতে ওই যুবক ও মেয়েটির অবস্থানের কথা জানতে পারেন।
পরিবারের লোকজন সেখানে গেলে ওই যুবক মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যান। এরপর পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে নিয়ে চলে আসেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির মা বুধবার উলিপুর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
উলিপুরের পৌর এলাকার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মেয়েটি হিন্দু আর প্রেমিক মুসলমান হওয়ায় তাদের মাঝে সম্পর্ক মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি। ১৪ বছর বয়সেই মেয়েটিকে তার অমতে বিয়ে দেয়া হয়।
উলিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন মামলার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’