গাজীপুরের কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ ধাওয়া দেয়ায় পানিতে ঝাঁপ দিয়ে তলিয়ে গেছেন ওই যুবক।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু বাজার এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেন ওই যুবক। বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তার খোঁজ পায়নি।
নিখোঁজ রাব্বি হাসানের বাড়ি তুমুলিয়া ইউনিয়নের টিউরি গ্রামে।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের প্রধান আব্দুল জলিল জানান, বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে টঙ্গী ও কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ডুবুরি দলের ছয় সদস্য রাব্বির সন্ধানে শীতলক্ষ্যা নদীতে অভিযান শুরু করেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে অভিযান। তখনও ওই যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ রাব্বির ফুফাতো বোন ফারহানা মিলি জানান, মঙ্গলবার রাতে গ্রামের বঙ্গবন্ধু বাজার এলাকায় শীতলক্ষ্যায় নোঙর করা একটি জাহাজে বসে কয়েকজন বন্ধুসহ আড্ডা দিচ্ছিলেন রাব্বি। এ সময় কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল তাদের ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়ায় তারা ছোটাছুটি করেন। এ সময় রাব্বি নদীতে ঝাঁপ দেন।
রাব্বির বাবা খোকন মিয়া জানান, তার ছেলে স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। লকডাউনে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ।
কালীগঞ্জ থানার এসআই শহীদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযান পরিচালনা ও ধাওয়া করার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে ওসি স্যার বক্তব্য দেবেন।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক বলেন, ‘রাতে পুলিশ বঙ্গবন্ধু বাজার এলাকায় মাদকের বিশেষ অভিযানে গিয়েছিল। এ সময় অভিযানস্থলের কাছে শীতলক্ষ্যা নদীতে নোঙর করা একটি জাহাজে মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও ১৫-১৬ জন যুবক দৌড়ে পালিয়ে যান।
‘আজ (বুধবার) জানতে পারলাম পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় রাব্বি নামে এক যুবক নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন।’
ওসি আরও বলেন, ‘নিখোঁজের বিষয়ে কেউ আমাদের কিছু বলেনি। থানায় কেউ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতেও আসেনি।’