খুলনার দিঘলিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াছিন শেখের হত্যা মামলার এজাহার পরিবর্তন কর হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
পরিবারের দাবি, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বাঁচাতেই এমন কাজ করেছে পুলিশ। তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করছে পুলিশ।
খুলনা প্রেস ক্লাবে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ইয়াছিনের পরিবার। সেখানেই এজাহার পরিবর্তনের অভিযোগ করা হয়।
সম্মেলনে ইয়াসিনের মা হাফিজা বেগম জানান, গত ২৫ জুলাই রাতে তার ছেলে ইয়াসিন শেখকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২৭ জুলাই মামলা করতে থানায় যান তারা।হত্যার ঘটনায় ৩২ জনের নামে মামলা করা হয়। থানায় যাওয়ার পর পুলিশ তাদের প্রায় ২ ঘণ্টা বসিয়ে রাখে। এরপর এক পুলিশ সদস্য একটি কাগজ এনে তার সই নেন।
তিনি জানান, ওই কাগজে মামলার এজহার মনে করে সই করেন তিনি। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে পরে জানতে পারেন মামলার এজাহার পরিবর্তন করে নতুনভাবে লেখা হয়েছে। তারা ৩২ জনের নামে মামলা করেন। তবে এজাহারে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে সাক্ষীদের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে।
হাফিজা বলেন, ‘পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বাঁচাতেই এমন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার নিয়ে আমি শঙ্কিত।’
ইয়াসিনের স্ত্রী খাদিজা বেগম জানান, ইউপি নির্বাচন নিয়ে গত রমজানে নৌকা প্রতীক ও আনারস প্রতীকের সমর্থদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এর জেরেই ২৫ জুলাই ইয়াসিনকে মামার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়।
তার অভিযোগ, এ হত্যার জন্য দায়ী ইয়াসিনের মামা শাজাহান গাজী। ঘটনার রাতে ইয়াসিন মামার বাড়িতে দাওয়াত খায়। তাকে সেখান থেকে ডেকে নিয়ে দিঘলীয়ার গাজীর দিঘিরপাড় এলাকায় পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
তবে এজাহারে আসামিদের নাম বাদ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন দিঘলিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার সরকার।
তিনি বলেন, ‘ইয়াসিনের পরিবার যে এজাহার দিয়েছে, সে অনুযায়ী মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। তাদের অভিযোগটি সঠিক নয়।’