মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মাটি খুঁড়ে এক মাস ছয় দিন পর এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
উপজেলার পাত্রখোলা চা-বাগানের পশ্চিম লাইন বঙ্গাপাড়া এলাকায় বুধবার সকালে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী দুপুরে ঘরের পাশের মাটি খুঁড়ে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মৃত নারীর নাম সুচিত্রা শব্দকর। তার স্বামীর নাম সুভাষ বাউরী। তারা পশ্চিম লাইন বঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
সুচিত্রার মেয়ে সীমা শব্দকর জানান, এক মাস ধরে তার মায়ের কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না তিনি। সুভাষকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান সুচিত্রা ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। কয়েক দিন আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য মকবুল হোসেনকে বিষয়টি জানান সীমা।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকালে বাগানের লোকজনকে নিয়ে সুভাষের বাড়ি যান মকবুল। সুভাষকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি পালিয়ে যেতে চাইলে তাকে ধরে ফেলা হয়। পরে সুচিত্রাকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন সুভাষ।
সামায়েল শরীফ মুন্না নামের এক এলাকাবাসী নিউজবাংলাকে জানান, সকাল ১০টার দিকে সুভাষের বাড়িতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পালিয়ে যেতে চাইলে তাকে মসজিদ এলাকা থেকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সুচিত্রার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। সীমা তার প্রথম পক্ষের মেয়ে। সুচিত্রা-সুভাষ দম্পতির ১০ বছরের একটি ছেলে আছে।
মাধবপুর ইউপির চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু জানান, ওই দম্পতির প্রায়ই ঝগড়া হতো। হত্যার বিষয়টি সুভাষ স্বীকার করেছেন।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক ইয়ারদৌস হাসান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সুভাষ হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। ২২ জুন পারিবারিক কলহের জেরে সুচিত্রাকে কুড়ালের হাতল দিয়ে পেটের নিচে আঘাত করলে তিনি মারা যান। পরে তাদের ঘরের পাশে সুচিত্রার মরদেহ মাটি চাপা দেন।
তিনি আরও জানান, সুচিত্রার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।