বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ত্রাণের স্লিপ চাওয়ায় ধাক্কা, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যান

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২১ ১৮:৩৫

ত্রাণের জন্য স্লিপ চাইতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি যান এক বৃদ্ধা। পরে তাকে বাড়ির বারান্দা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ওই চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও মেয়ে। এ ঘটনায় মামলা করেন ওই বৃদ্ধার ছেলে। সেই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে ত্রাণের স্লিপ চাওয়ায় এক বৃদ্ধাকে ধাক্কা দিয়ে আহত করার মামলায় এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের নামুড়ি বাজার এলাকা থেকে বুধবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করে আদিতমারী থানার পুলিশ। দুপুরে তাদের জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালতে নেয়া হয়।

গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যানের নাম শওকত আলী। তার স্ত্রীর নাম আনোয়ারা বেগম। তাদের বাড়ি মদনপুর গ্রামের নামুড়ি বাজার এলাকায়।

আহত বৃদ্ধার নাম আলেমা বেওয়া। তার বাড়ি একই এলাকায়।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলে হয়, ঈদের আগে এলাকায় ত্রাণ দেয়ার কথা জানান চেয়ারম্যান শওকত আলী। সে কারণেই আলেমা বেওয়া নামের ওই বৃদ্ধা শওকতের কাছে যান। ত্রাণের স্লিপ দেয়ার কথা বলে তার ভোটার আইডি কার্ড নেন শওকত।

ভোটার আইডি কার্ড নেয়ার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ত্রাণের কোনো স্লিপ পান না আলেমা। পরে ১৯ জুলাই চেয়ারম্যানের বাড়িতে যান ওই বৃদ্ধা। সেখানে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করেন আলেমা। এরই মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শেষ করে বাড়িতে ফেরেন শওকত। পরে আলেমা তার কাছে ত্রাণের স্লিপ চান।

এ সময় শওকতের স্ত্রী আনোয়ারা ও মেয়ে কামরুন্নাহার সুহিন আক্তার বৃদ্ধ আলেমাকে ত্রাণের স্লিপ না দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। বারান্দার সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পান আলেমা এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তার ছেলে নুরুজ্জামান খরব পেয়ে মাকে উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

পরদিন চেয়ারম্যান শওকত আলী, তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও মেয়ে কামরুন্নাহারে বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন নুরুজ্জামান।

আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন আলেমাকে অর্থসহায়তাসহ বিচার পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং আদিতমারী থানার পুলিশকে অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা নেয়ার তাগিদ দেন। পরে মামলা নেয় থানার পুলিশ।

সেই মামলায় বুধবার সকালে আনোয়ারা ও চেয়ারম্যান শওকতকে গ্রেপ্তার করা হয়।

লালমনিরহাট আদালতের পুলিশ ইনচার্জ মো. মুসা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক বেগম ফেরদৌসী বেগম পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ে চেয়ারম্যান শওকত ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে জামিন দেন।’

এ বিভাগের আরো খবর