সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার শতবর্ষী প্রাচীন খেলার মাঠ বাঘা হাতালী মাঠ। সম্প্রতি এই মাঠের নাম বদলে ব্যক্তির নামে নামকরণ করা হয়।
ঐতিহ্যবাহী একটি খেলার মাঠের নাম বদলে ফেলার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এমন চেষ্টাকে ‘নাম ডাকাতি’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার মাথায় লাল নিশান পরে ওই মাঠের সামনে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। এর আগে গত শনিবার একই দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। ‘বাঁচাও হাতালী মাঠ ও হাতালী সংরক্ষণ কমিটি বাঘা’র ব্যানারে এসব কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে।আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সিলেট জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণাধীন হাতালী খেলার মাঠ চলমান জরিপে শিল্পপতি গোলাম রব্বানী চৌধুরী তার বাবার নামে ‘গোলাম মোস্তফা চৌধুরী খেলার মাঠ’ হিসেবে নামকরণ করিয়ে নেন। ভূমি জরিপ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অবৈধ যোগসাজসে মাঠটির নাম ডাকাতি করা হয়।ঘটনা জানাজানি হলে বাঘা এলাকাবাসী আন্দোলনে নামেন। ৭.৬০ একর জমির ওপর হাতালী মাঠ সংরক্ষণে এবং সরকারের পক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসকের নামাধিন রাখতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়।বিক্ষোভ কর্মসূচীগুলোতে এলাকাবাসীর পক্ষে আব্দুল আলিম শাহ বলেন, ‘ভূমি জরিপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অবৈধভাবে মাঠটির নাম পাল্টে দিয়েছেন। বাঘা ইউনিয়নের আপামর জনসাধারণ এই মাঠ রক্ষায় সর্বাত্মক আন্দোলনে নেমেছেন।’‘এই মাঠের নাম কারো নামে হতে পারে না। এটি হাতালী মাঠ নামেই শতবছর থেকে স্বীকৃত।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে গোলাম রব্বানী চৌধুরী বলেন, ‘এই মাঠ আগে আমাদেরই ছিল। পরে জেলা প্রশাসনের খতিয়ানে চলে যায়। আমি লন্ডন থাকাকালীন এলাকার মুরব্বীরা জমির পূর্বের মালিক হিসেবে আমার বাবার নাম জুড়ে দিয়েছেন।’এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা বলেন, ‘গোলাপগঞ্জ উপজেলায় আমি নতুন এসেছি। এজন্য বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন যেহেতু আমি জেনেছি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলব।’সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আসলাম উদ্দিনও এই বিষয়ে কিছু জানেন না জানিয়ে বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। মাঠটি জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকলে তা পূর্বের নামে ফিরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেব।’