বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাহাড়ধসের শঙ্কা, আশ্রয়কেন্দ্রে ৯২ পরিবার

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২১ ১৫:৫৮

‘পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে ছয়জন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজ করছেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকরাও রয়েছেন।’

অতিভারী বর্ষণের প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই শঙ্কায় চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে ৯২টি পরিবারকে স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয় স্থানান্তর কাজ। নগরীর বাটালিহিল, মতিঝর্ণা, আকবরশাহ ও লিংক রোড এলাকার পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে তাদের সরিয়ে নেয়া শুরু করে জেলা প্রশাসন। এ সময় ২০টি অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়।

বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে ছয়জন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজ করছেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকরাও রয়েছেন।

‘এখন পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে ৯২টি পরিবারের ৩১০ জন সদস্যকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর আল হেরা মাদ্রাসা, রউফাবাদ রশিদিয়া মাদ্রাসা, ফিরোজ শাহ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লালখান বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়- এই চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের রাখা হয়েছে।’

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে আসা পরিবারগুলোকে খাদ্য ও চিকিৎসা-সহায়তা দেয়া হচ্ছে। দুপুরের খাবারে সবাইকে ভুনা খিচুড়ি ও ডিম দেয়া হয়েছে। রাতের খাবারও তৈরি করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে আমাদের মাইকিং ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ অব্যাহত রয়েছে।’

এদিকে প্রবল বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার জেলার কয়েকটি উপজেলায় পাহাড় ও ভূমিধসে এক দিনে অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম বিভাগজুড়ে আরও ভূমিধস হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, সাগরে লঘুচাপ বিরাজ করছে। এর প্রভাব রয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। যার ফলে ভারী বর্ষণ, ঝোড়ো বৃষ্টি ও বাতাসের আধিক্য থাকবে।

লঘুচাপটি বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের দিকে অগ্রসর হবে। এর প্রভাবে খুলনা অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ও উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। উপকূলীয় অঞ্চলে এরই মধ্যে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে এবং গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর