শরীয়তপুর সদরে স্বামীর ইটের আঘাতে নিহত হয়েছেন গৃহবধূ।
উপজেলার বাঘিয়া গ্রামে বুধবার ভোর ৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত রাজিয়া সুলতানার বাড়ি সদর উপজেলার উত্তর পালংয়ে।
হত্যার পর অভিযুক্ত স্বামী আরিফ মুন্সি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিসহ নানান অযুহাতে রাজিয়াকে নির্যাতন করত মাদকাসক্ত আরিফ।
রাজিয়ার মামা ইয়াদ আলী বলেন, ‘আমার ভাগনিরে আরিফের লগে বিয়া দিছিলাম। বিয়ার পর থিক্ক্যা ওয় রাজিয়ারে নানাভাবে নির্যাতন করত। অনেক বার মিমাংসা করছি। বারবার আরিফ হাতে পায় ধইরা মাফ চাইয়া অনুরোধ করত। শ্যাষ পর্যন্ত ওয় আমার ভাগনিরে মাইরা হালাইলো। আমরা ওর ফাঁসি চাই। ওয় যদি বাইচ্চা থাকে আবার অন্য মাইয়্যার জীবন নিব।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, আরিফ ও রাজিয়া দম্পতি জেলা পৌর শহরের বাঘিয়া গ্রামের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের ভেতরে কলহ ছিল।
পারিবারিকভাবে বিষয়টি মিমাংসা করা হলেও এর কোনো সমাধান হয়নি। এরই জেরে বুধবার ভোরে ঘুমন্ত রাজিয়াকে ইট দিয়ে মাথায় একাধিক আঘাত করে আরিফ।
ওসি আরও জানান, আরিফ নিজে এসে থানায় হত্যার ঘটনাটি জানায়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরিফকে আসামি করে নিহতের ভাই রাসেল পালং মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছেন।