বাড়ির ফটকে রঙ-বেরঙের কাপড়ের তৈরি বিশাল গেট। আঙ্গিনায় সামিয়ানা টঙিয়ে তৈরি করা হয় বড় প্যান্ডেল। মধ্যহ্নভোজের জন্য ছিল ৫০০ মানুষের খাবারের আয়োজন। কিন্তু এসব আয়োজন পণ্ড করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ঘটনা হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বুল্লা গ্রামে।
এলাকাবাসী জানান, ওই গ্রামের জিলু মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া কঠোর লকডাউনে ধুমদাম করে বিয়ে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি গ্রামের সুনিয়াকে। তিনি ওই গ্রামের নাছির মিয়ার মেয়ে। গত সোমবার ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবার নিজ বাড়িতে বউভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন জিলু মিয়া।
কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই এত মানুষের সমাগমের আয়োজন করেন তিনি।
এ খবর পৌঁছে যায় মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈনের কাছে। তিনি সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যের নিয়ে হাজির জিলু মিয়ার বাড়িতে। লকডাউনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত জিলু মিয়াকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে। আর খাদ্যসামগ্রী নিকটস্থ এক এতিমখানায় পাঠিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এ সময় জনসাধারণকে মাস্ক পরতে এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে উৎসাহ দেয়া হয়।
ছেলের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মইনুল ইসলাম মঈন বলেন, ‘এ লকডাউনে এ সব অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু তারা আইন অমান্য করে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে বরের বাবাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।’
বুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ইউপি) সামছুল ইসলাম মামুন বলেন, ‘বর চট্টগ্রামে কসমেটিক্সয়ের ব্যবসায় করেন। লকডাউনে এ আয়োজন করা তাদের উচিত হয়নি।’