রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরির চেষ্টার অভিযোগে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার সোহেল ও নাছিম হোসেনই মূল পরিকল্পনাকারী। এ নিয়ে ওই ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হলো ৮ জন।
পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নগরীর সেন্ট্রাল রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার দুপুরে এই তথ্য জানানো হয়।
নগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, গত ২৩ জুলাই দুপুরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন্ট প্লান্টের সামনে তিনটি ট্রাক আসে। চালকরা ট্রাক থেকে নেমে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। সন্দেহ হলে কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ সন্দেহের ভিত্তিতে ৩টি ট্রাক জব্দ করে এবং চালকসহ ৬ জনকে আটক করে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২৪ জুলাই এ ঘটনায় মামলা করে। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মারুফ হোসেন আরও জানান, এই ঘটনার মূলহোতা সোহেল ফকির জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে বিভিন্ন ট্রাক চালকের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাত করে আসছিলেন তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের ট্রাক, ট্যাংকলরি কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের মঞ্জুরুল আলমকে ফোন দেন তিনি। তাকে বলেন, তিনি ডা. রেজাউল করিম।
চিকিৎসক পরিচয়ে সোহেল শ্রমিক নেতা আলমকে আরও বলেন, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ঢাকায় যেতে হবে। এ জন্য ট্রাক প্রতি ৪০ হাজার টাকা করে ভাড়া দেয়া হবে। ট্রাক চালকরা তাতে রাজি হন।
তখন সোহেল বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল ফ্রি করে দেয়ার কথা বলে চালকদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা বিকাশ করে নিয়ে নেন।
এর পর কথা মতো ২৩ জুলাই ট্রাক চালকরা হাসপাতালের সামনে এসে সোহেলকে ফোন করেন। কিছুক্ষণ পর মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
উপ পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) জানান, মামলায় ওই দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে তোলা হবে।