গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে হামলা ও আগুন দেয়ার ঘটনায় দোকানমালিকের দগ্ধ ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে।
শ্রীপুরের তেলিহাটি মোড়ের ভাই ভাই ট্রেডার্সে বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি ছিলেন দগ্ধ আরিফ হোসেন। সেখানে সোমবার মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয়।
হামলার ঘটনায় পরদিনই ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি তোফাজ্জল সরকার ও তার দুই ভাইয়ের নামে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন দোকানমালিক মোজাম্মেল হোসেনের আরেক ভাই তোফাজ্জল হোসেন।
তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, ভাই ভাই ট্রেডার্সের মালিক মোজাম্মেল, তার তিন ভাই আরিফ, তোফাজ্জল ও সাখাওয়াত এবং তাদের বাবা জজ মিয়া ঘটনার সময় দোকানে ছিলেন। তখন সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডার কিনতে আসেন ইউনিয়ন যুবদল নেতা তোফাজ্জল সরকার।
দাম বেশি চাওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগে মোজাম্মেলের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।
খবর পেয়ে তোফাজ্জলের ভাই মোফাজ্জল সরকার ও তাইজু সরকার দোকানে এসে ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এতে দগ্ধ হন মোজাম্মেল, তার তিন ভাই, বাবা ও দোকানের কর্মচারী সজিব।
এলাকার লোকজন তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। অন্যরা তেমন আহত হয়নি বলে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। তবে আরিফের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজধানীতে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা তোফাজ্জল বলেন, ‘আমার ছেলে সবসময় ৯০০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার ক্রয় করে। সন্ধ্যায় আমি তেলিহাটি চৌরাস্তা যাওয়ার পর দোকান মালিক মোজাম্মেল আমার কাছে এক হাজার ৫০ টাকা দাবি করে।
‘এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা (দোকানমালিক পক্ষের লোকজন) আমাকে মারধর করেন। তারা নিজেরা দোকানের মালামাল ভাঙচুর করে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করেছে।’
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ জানান, আরিফ মারা যাওয়ায় এখন হত্যা মামলা হিসেবে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। আসামিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।